কোনো কাব্যরসিক বন্ধুর প্রতি

আমাকে বোলো না বন্ধু আর শুদ্ধ কবিতা লিখতে।
বয়ঃসন্ধি-সমাগতা খুঁতখুঁতে কোনো কুমারীর
ভয় ভাঙানো অথবা বদরাগী বিষণ্ণ বৃদ্ধের
নিরামিষ রিরংসা মেটাতে আজ আর সাধ নেই।
সাধ নেই সময়ের ঘোলা জলে সাদা পাল তুলে
ভেসে যেতে সেই দেশে যে দেশকে রাঙাপুর বলে,
মড়ি ছেড়ে ওঠা কোনো শকুনের মতো পাখা মেলে
উড়ে যাব অলকায় দুপুরের কাঁচা সোনা রোদে,
কবিত্বের সেই বড়াই সাজে না আমার। ভালো তাই
লাগে না এখন আর মসৃণ শব্দের খেলা শুধু।
কথায় ভেজে না চিঁড়ে—ধনমান-প্রেম নয়, নয়,
চেয়েছি তো ডালভাত আর একটু আশ্রয়।
সোনায় বাঁকানো ঘাড় সোজা যদি না হয় হোক,
মই পড়ে পড়ে যার পাকা ধানে তার লাঙলে কাস্তেতে
ধার দিতে ক্ষয়ে যদি যায় যাক কলমের শাণ,
আমরা না হয় বাঁধি বাসা, আগামীরা গাবে গান।