আষাঢ়স্য প্রথম দিবস

আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে
পৃথিবীর প্রকাশিত অলস আঁচল
বিশ্ব বিন্দু ঝরা মেঘে দুলে ওঠে
হাস্যমুখি লাস্যময়ী নদী কলকল
পিতৃগৃহ প্রত্যাগতা তরুণীর ঢঙয়ে
সাথে বয়ে যায় নীলিমার নীল অন্তঃপুরে।

রুদ্ধ বাতায়ন ঠেলে দূরে বহুদূরে
অসংবৃত হৃদরের প্রগলভ্‌ কথা
উড়ে যায় নামহীন কোন্ অলকায়।
আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে
হৃদয় যাচক হয়ে হৃদয়ের দেশে
যা চেয়েছে যা পেয়েছে
রাঙা শতদল হয়ে ফোটে আহা ফোটে
বিগত কথারা সব কথা নয় যেন
স্মৃতির নির্বাক বৃত্তে প্রস্ফুটিত ফুল।

আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে
মনের গহন কোণে বিহ্বল রাগিনী
সুরে সুরে কারে যেন ডাকে
কোন কেশবতী কন্যা বুঝি
ধূসর বর্ষণভরা সন্ধ্যার আকাশে
পেলব গহন কালো লুটিয়ে আবেশে
নরম চিকন কেশে ঝরে আহা ঝরে
অবগাহনের স্বচ্ছ তরল সলিল।

আমার হৃদয়ে সখী
আছে কি পাজর!
ভুলে যাই, ভুলে যাই
আমি যেন আমি নই
আমি যেন কোন এক রাজার কুমার
হারিয়েছি মন্বন্তরে হীরের মুকুট
তাই বুঝি শত্রুপুর অচেনা শহরে
অতন্ত্র-প্রহর গুনি
আর গুনি ঘন ঘন ডাকছে দামিনী
আর্দ্র বাতাসে ভেসে
বহুদূর হতে আসে
বিরহিনী যক্ষিণীর করুণ নিঃশ্বাস
আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে।