এই শ্যামল কোমল তৃণ, শিহরিত লতা
জীনের জীবন থেকে মানুষের সাজানো সংসারে
যেন অদৃশ্য রোদের ছটা
অক্ষৌহিনী প্রাণকণা চরে
নানান গহন তত্ত্ব অন্ধকার সৃজনের প্রায় গুপ্তকথা
আমার চেতনলোকে কি সুখে মর্মরে।
কি করে বোঝাব আমি এইসব বাক্যবান জীবে
জীবন সংক্ষিপ্ত জামা নয়, আকাশের ধার থেকে
নক্ষত্র অবধি জীবনের ব্যাপক বিস্তার।
ধাতব চেতনাময় সুসভ্য সমাজে, কি করে বোঝাৰ আমি
নিসর্গ সান্নিধ্যে এলে
মৌনতার শিরাজালে অপূর্ব বাঁশরী
চরাচর ভেদ করে জাগে।
সমর্পিত কণ্ঠে যদি বলি, কেউ কি আমাকে দেবে
সন্তের সম্মান- আকাশে নক্ষত্র দেখে নক্ষত্রের মতন
না হয়ে পারিনি আমি। নদীতীরে বসে তার
ঢেউয়ের কাঁপন বেজেছে আমার বুকে বেদনার মত-
ঘাসের হরিৎ রসে ছেয়েছে হৃদয়।