কবিতার প্রতি

আমাকে নিল না কেউ তাই তোর
দ্বারে এলাম বড় ক্লান্ত এই অবেলায়
তুই যদি ফেরাস আজ নিষ্ঠুর হেলায়
যাব, হেন স্থান নেই, রুদ্ধ সব দোর।

সুন্দরী করুণাময়ী দু’টি পায়ে বহুদূর থেকে
হেঁটে, মাড়িয়ে কাঁটার পথ আগাছা জঙ্গল
ধুধু বালুচর ক্ষুধায় পাইনি খাদ্য পিপাসায় জল
তথাপি এনেছি দেখ ছিন্নবস্ত্রে একতারা ঢেকে।

কি গান শুনবি বল্ কোন্ সুরে এই যন্ত্র বাজাই
রুদ্ধ হাত স্তব্ধ জিহ্বা প্রাণের গহন বাক্য চোখে চোখে বলি
আমার সম্মুখে দাঁড়া তৃষিত নয়নে দেখি সুন্দর ত্রিবলী
প্রাণেশ্বরী কোন্ রাগ ভাল লাগে বল্ আজ কোন্ গান গাই ৷
আমার দুঃখের কথা প্রতীক্ষার উতলা প্রহর
বসন্তের মৃদু হাওয়া, নিষ্পত্র হেমন্তের সোনালি বিকাল
ঝঞ্ঝা ঝড় বজ্রপাত এই মত কেটে গেছে কাল
যদি চাস তুলি তবে নিপুণ যন্ত্রের তারে প্রাণের ঝঙ্কার।

অনন্ত যৌবনা তুই বীর্যবান পুরুষের একাগ্র সাধনা
জন্মগত অক্ষমতা কোন্ প্রাণে নিবেদন করি
ইচ্ছে করে মর্মমূলে হেনে বসি তীক্ষ্ণধার ছুরি
লাল রক্ত টেনে হৃষ্ট মনে সাঙ্গ করি তোর আরাধনা।
তোর রাজ্যে কেউ আসে যাওয়ায় ঘূর্ণির ঢেউ তুলে
জন্মেই যুবরাজ কেউ নক্ষত্র নীরবে কাঁদে কারো তিরোধানে
কারো লাল হৃদপিণ্ড যুগ যুগ রেখেছ শিথানে
নির্বাক ফুলের মত অকালে হারায় কেউ তোমার অকূলে।

আমাকে নিল না কেউ, নিরুপায় বড় আমি
আবদ্ধ তরীর মত দিন রাত ঘাটে বসে একা
ঝিলমিল শাড়ির প্রান্ত ভাগ্যে গেল দেখা
মিলে যদি অনুমতি মায়াময় তোর লোকে কিছুক্ষণ থামি।