আমার প্রাতরাশে

সকালে দরজা খুলে এই রাজভিখারীর হাত
যেমন সংবাদপত্রের মতো অস্থায়ী কচুর পাতায়
খেতে চায় স্ফটিকশুভ্র স্বচ্ছ স্বাদ, আজ সেই পাত্রে টলমল
ঘোলাজল সমুদ্রের। দেখো
এত বড়ো বঙ্গোপসাগরকেই আজ যেন
ভাঁজ করে পাঠালেন সাংবাদিক
সজ্জন সুধীরা।
আমার প্রাতরাশের হলদেটে
টাটকিনি মাছের ফাঁকে ফাঁকে
কলার টুমের মতো অসাবধানে শুয়ে পড়লো
ভোলার অসংখ্য মৃত কিশোরের শব। আর
সঙ্গিনীর দীপ্ত ধুম্রময় চায়ের সুনামে
সন্দ্বীপের পেটফোলা যুবতীর লাশ ধোয়া পানি
ছিটকে ছিটকে ঝরতে লাগলো একটানা।

জানলার হাওয়ার ঠকঠকি শুনে এত ভয়?

বুঝিবা এখুনি
লাখো লাখো মড়া গাই
বিশাল গোয়াল ভেবে
ঢুকে যাবে আমার কামরায়।
কিম্বা দেবতা বেল-এনলিল তার
আজ্ঞাবহ জলের পীড়নে
প্রাণহীন একপাল তাগড়া গরুকে
ঢেউয়ে ঢেউয়ে তাড়িয়ে ফিরিয়ে
আমার বুকের মধ্যে ঠুকলেন
খড়কে-অলা বিশাল পাজন।