বাংলাদেশে ধর্মভিত্তিক দল ও রাজনীতির ভবিষ্যৎ

ভবিষ্যতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ধর্মভিত্তিক দল ও রাজনীতির ভূমিকা কী হবে, সেটা অনেকেরই প্রশ্ন। বিশেষ করে প্রশ্নটি ওঠে জামায়াতে ইসলামীর ভবিষ্যৎ কী, সেটাকে কেন্দ্র করেই। পাশাপাশি যাঁরা এ রাজনীতির বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করেন, এ রাজনীতির প্রসারকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে চান, তাঁরা বুঝতে চান তাঁদের করণীয় কী, বাংলাদেশ রাষ্ট্র কী করতে পারে। বিরাজমান পরিস্থিতিতে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি মোকাবিলা করার উপায় হিসেবে সাধারণত আইনি ও সাংবিধানিক দিকগুলোই প্রথমে সবার বিবেচ্য বিষয় হয়। ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপিত ছিল। সংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদে ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি বাস্তবায়নের জন্য সাম্প্রদায়িকতা, রাষ্ট্র কর্তৃক কোনো ধর্মকে রাজনৈতিক মর্যাদাদান, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মের অপব্যবহার ও বিশেষ কোনো ধর্ম পালনের কারণে ব্যক্তির প্রতি বৈষম্য লোপ করা হবে বলে অঙ্গীকার ছিল। তদুপরি সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছিল যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যসম্পন্ন বা লক্ষ্যানুযায়ী ধর্মীয় নামযুক্ত বা ধর্মভিত্তিক কোনো সমিতি বা সংঘ গঠন করার বা তাদের সদস্য হওয়ার বা অন্য কোনোভাবে তার তৎপরতায় অংশগ্রহণ করার অধিকার কোনো ব্যক্তির থাকবে না। ১৯৭৭ সালের প্রোক্লেমেশন অর্ডার নম্বর ১-এর মাধ্যমে সংবিধানের ধর্মীয় ১২ সম্পূর্ণভাবে ও ৩৮ অনুচ্ছেদের অংশবিশেষ বিলোপ করা হয়। ২০১১ সালে আদালত কর্তৃক পঞ্চম সংশোধনীকে অসাংবিধানিক বর্ণনা করে তা বাতিল করা হলে এ দুই ধারাই পুনর্বহাল হয়। কিন্তু পঞ্চদশ সংশোধনীর মধ্য দিয়ে সংবিধানে ১২ অনুচ্ছেদ ফিরে এলেও ৩৮ অনুচ্ছেদ নতুন রূপ নিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে যে কারও এমন সমিতি বা সংঘ গঠন করার কিংবা তার সদস্য হওয়ার অধিকার থাকবে না, যা নাগরিকদের মধ্যে ধর্মীয়, সামাজিক এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে কিংবা ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষ, জন্মস্থান বা ভাষার ক্ষেত্রে নাগরিকদের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টির চেষ্টা করে। এ পরিবর্তনের ফলে এ সংবিধানের আওতায় রাষ্ট্র কোনো দলকে ধর্মভিত্তিক হওয়ার কারণে নিষিদ্ধ করতে পারে না। সম্ভবত এ কারণেই প্রধানমন্ত্রী ও নীতিনির্ধারকেরা এটা বারবার বলেছেন যে বাংলাদেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ হবে না। তদুপরি দেশের সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল রাখাও এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের পথে বড় অন্তরায়। রাষ্ট্রধর্মবিষয়ক ধারা কার্যত ১২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

এখানে অবশ্য এটাই বলা দরকার যে এ আলোচনায় জামায়াতে ইসলামীর বিষয়টিকে কেবল ধর্মভিত্তিক দল বলে বিবেচনা করাই যথেষ্ট নয়; দলটি নিষিদ্ধকরণের আলোচনাকে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির প্রশ্ন থেকে আলাদা রাখাই বাঞ্ছনীয়। তার কারণ হলো, মুক্তিযুদ্ধকালে দলটি গণহত্যায় সাংগঠনিকভাবে অংশগ্রহণ করেছে এবং তার জন্য কোনো ধরনের ক্ষমাপ্রার্থনা পর্যন্ত করেনি। গণহত্যায় সংশ্লিষ্টতা এবং মানবতাবিরোধী কার্যকলাপের বিবেচনায় জামায়াত নিষিদ্ধকরণের প্রশ্নটি তুলনীয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নাৎসি পার্টি ও তার সহযোগী সংগঠনগুলো নিষিদ্ধ করার সঙ্গে। তা ছাড়া এ দলের আচরণ সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদের বর্ণিত ‘এই সংবিধানের পরিপন্থী’ কি না, তা-ও বিবেচ্য।

গণতান্ত্রিক রাজনীতির বিবেচনায়ও আলাদা করে ধর্মভিত্তিক রাজনীতিকে মোকাবিলা করা যাবে না। পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্র বলে পরিচিত ভারতে সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা থাকলেও বিজেপি এবং তার সহযোগী সংগঠনগুলো ছাড়াও কমপক্ষে ৩৭টি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল রয়েছে। এর মধ্যে ১০টি সর্বভারতীয় ভিত্তিতে এবং ১০টি আঞ্চলিক দল হিসেবে তৎপর বলে জানা গেছে। এসব রাজনৈতিক দল বৈধভাবেই কাজ করছে। কিন্তু পাশাপাশি এটাও বলা দরকার যে জাতীয় নিরাপত্তা এবং সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির যেকোনো চেষ্টা করলে এসব দলকে অন্যদের মতোই দেশের প্রচলিত আইনের পরিণতি ভোগ করতে হয়। পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও আমরা ধর্মভিত্তিক দলের উপস্থিতির কথা জানি, তবে তাদের নিষিদ্ধ করার ঘটনাও ঘটেছে।

তার অর্থ কি এই যে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতির পথরেখায় ধর্মভিত্তিক দলের প্রভাব হ্রাস করার, জনসাধারণের মধ্যে ধর্মীয় বিশ্বাস এবং রাজনৈতিক আদর্শ হিসেবে ধর্মের পার্থক্যকে চিহ্নিত করার, ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বিপজ্জনক দিকগুলো মোকাবিলা করার কোনো উপায় নেই? আমার ধারণা যে অবশ্যই তা আছে। এ বিষয়ে দীর্ঘ মেয়াদে কী করা যেতে পারে, তার বিবেচনায় আমি করণীয় চারটি দিকের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই।

প্রথমত এ রাজনীতি মোকাবিলায় প্রথমেই দরকার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে জোরদার করা। কোনো দেশে ধর্মভিত্তিক দল কখন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে, সেটা পৃথিবীর মুসলিমপ্রধান দেশগুলোতে ইসলামপন্থীদের উত্থানের ইতিহাস থেকেই ভালো করে বোঝা যায়। মিসরে মুসলিম ব্রাদারহুড থেকে ফিলিস্তিনে হামাসের উত্থানের ইতিহাস বলে দেয় যে যখন কোনো দেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ সীমিত হয়েছে, ক্ষমতাসীনেরা নাগরিকের অধিকারকে সীমিত করেছে, সেখানেই ইসলামপন্থীরা শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে পেরেছে। আশির দশকে আলজেরিয়ার ইতিহাসও তা-ই সাক্ষ্য দেয়। এ রকম পরিস্থিতিতে তারা এটা দেখাতে পেরেছে যে প্রচলিত ‘সেক্যুলার গণতন্ত্র’ বলে পরিচিত রাজনৈতিক ব্যবস্থা নাগরিকের অধিকারের নিশ্চয়তা দিতে পারে না। সে কারণেই গণতান্ত্রিক রাজনীতি যেমন ধর্মভিত্তিক দলকে রাজনীতির অধিকার দেয়, তেমনি গণতন্ত্রই কেবল ধর্মভিত্তিক রাজনীতিকে সীমিত পরিসরের মধ্যে আটকে রাখতে পারে। লক্ষণীয়ভাবে বাংলাদেশের ধর্মভিত্তিক দলগুলো প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বৈরিতার রাজনীতিকে ও সহিংসতার রাজনীতিকে উসকে দিতে চায়। বাংলাদেশের দুই প্রধান দলের অগণতান্ত্রিক আচরণ এদের স্বার্থের অনুকূলেই গেছে।

কোনো দেশে কোনো রাজনীতি কেবল রাজনৈতিক দলের মধ্য দিয়েই বিকশিত হয় না। বাংলাদেশে ইসলামপন্থী রাজনীতিও তার ব্যতিক্রম নয়। সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক এমনকি দাতব্য সংস্থার মধ্য দিয়ে তার মানসিক জমিন এবং তার অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। শিক্ষা ও গণমাধ্যম সেই রাজনীতিকে সমাজের গভীরে স্থায়ী আসন করে দেয়। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৮ সাল অবধি দেশে ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল না থাকলেও এ লক্ষ্যে কাজ করেছে বিভিন্ন সংগঠন। একই প্রক্রিয়া তার পরও অব্যাহত থেকেছে এবং এখন তা ব্যাপক রূপ নিয়েছে। বিপরীতক্রমে তার নেতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরার কাজে নিয়োজিত সংগঠনগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সীমিত আকারে কাজ করেছে। এ পরিস্থিতিকে ধর্মভিত্তিক দলগুলো তাদের অনুকূলে ব্যবহার করতে সফল হয়েছে। সমাজের ভেতরে এ অবস্থা অব্যাহত রেখে ধর্মভিত্তিক দলগুলোকে আইনি ও সাংবিধানিক বিধিবিধান দিয়ে, কিংবা বলপ্রয়োগের মাধ্যমে মোকাবিলা করতে চাইলে তাতে সাফল্য আসবে বলে আমি মনে করি না। এ জন্যই দ্বিতীয় করণীয় হলো সামাজিক আন্দোলনের সূচনা করা ও তা অব্যাহত রাখা। শিক্ষা ক্ষেত্রে বড় আকারের সংস্কার ছাড়া এ পথে এগোনো যাবে কি না, আমি সে বিষয়ে সন্দিহান।

তৃতীয়ত, বাংলাদেশের সংবিধানের দিকে খুব ভালোভাবে তাকানোর বিষয়ে হেলাফেলা করার সুযোগ নেই। পঞ্চদশ সংশোধনী সেই সুযোগকে কেবল হেলায় হারিয়েছে তা নয়, উপরন্তু তা সংবিধানকে আরও বেশি সমস্যাজর্জরিত করেছে। রাষ্ট্র ও ধর্মের সম্পর্কের প্রশ্নকে আমাদের গভীরভাবে বিবেচনা করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান রাষ্ট্র পরিচালনা থেকে ধর্মকে আলাদা করেছে প্রথম সংশোধনীর মাধ্যমে, সমাজে ও ব্যক্তিজীবনে ধর্মের প্রভাব তাতে ক্ষুণ্ন হয়নি। এতে করে রাজনীতিতে ধর্মের প্রভাব একেবারে অপসৃত হয়েছে এমনও বলা যাবে না। অন্যদিকে ফ্রান্স কেবল যে রাষ্ট্রের সঙ্গে ধর্মের সম্পর্কচ্ছেদের বিধান করেছে তা নয়, সামাজিক জীবনেও ধর্মের ভূমিকাকে রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণাধীন করেছে, ব্যক্তিগত জীবনের বাইরে ধর্মের ভূমিকা সীমিত এবং সংকুচিত করা হয়েছে। ব্রিটেনে আইনগতভাবে রাষ্ট্র ও ধর্মের মধ্যে বিভাজন টানা না হলেও ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় দুর্বল চার্চ এবং সমাজে ধর্মের প্রভাব হ্রাস পেয়েছে বলে সেখানে ধর্মের প্রশ্ন রাজনীতিতে আর মুখ্য থাকেনি। রাষ্ট্র ও ধর্মের সম্পর্কের ব্যাপারে এ তিনটি মডেলের কোনোটাই ত্রুটিমুক্ত বা সমালোচনামুক্ত নয়। গত কয়েক দশকে এ নিয়ে প্রবল আলোচনা হয়েছে এবং হচ্ছে। এ মডেলগুলোর উদ্ভব ও বিকাশের সঙ্গে খ্রিষ্টধর্মের মূল্যবোধের সম্পর্কের বিষয়ও উঠে এসেছে। আবার এর বাইরেও অন্যান্য মডেল আছে, অন্যভাবে এসব প্রশ্ন মোকাবিলা করা হয়েছে। মুসলিমপ্রধান তুরস্কে একধরনের নিজস্ব মডেল তৈরি হয়েছে, যেখানে ধর্ম রাষ্ট্রের ওপর প্রভাব ফেলতে পারবে না, কিন্তু রাষ্ট্রের মৌলিক চরিত্রের জন্য হুমকি হলে ব্যক্তির ধর্মপালনের অধিকারে পর্যন্ত রাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করতে পারবে। ইন্দোনেশিয়ায় সংবিধান সংস্কারের জন্য ১৯৯৯ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত যে বিতর্ক হয়, তাতে রাষ্ট্রধর্ম থেকে শরিয়ার প্রশ্ন বিস্তারিতভাবে আলোচিত হয়েছে। মালয়েশিয়ার ক্ষমতাসীন দল ইসলামপন্থী হলেও গত কয়েক বছরে সে আর ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা বলে না; ২০০৮ সাল থেকে এ দলের লক্ষ্য হচ্ছে ‘বেনোভলেন্ট’ বা ‘বদান্য রাষ্ট্র’ প্রতিষ্ঠা করা। এসব অভিজ্ঞতা থেকে ধার করে তার আলোকে এবং বাংলাদেশের সমাজ ও রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের সংবিধান বিষয়ে যে মুক্তমনে আলোচনা হওয়া আবশ্যক, তা রাজনীতিতে অনুপস্থিত।

চতুর্থত, সারা পৃথিবীতে ধর্ম ও সেক্যুলারিজম বিষয়ে কয়েক দশক ধরে যে ব্যাপক আলোচনা চলছে, বাংলাদেশের একাডেমিক জগতে সে বিষয়ে উৎসাহ কম। বিশ্বের জ্ঞান-জগতের নতুন চিন্তাভাবনা ও বিতর্কের সঙ্গে যুক্ত না থাকার কারণে চিন্তার একধরনের দৈন্য তৈরি হচ্ছে। প্রাসঙ্গিকভাবে বলা যেতে পারে যে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ইসলামপন্থীদেরও চিন্তাভাবনায় পরিবর্তন ঘটেছে, আদর্শিক অবস্থানেও বদল দেখা গেছে। কিন্তু তার সামান্য ছোঁয়া পর্যন্ত আমরা দক্ষিণ এশিয়ার ইসলামপন্থী রাজনীতিবিদ ও তাঁদের সমর্থক চিন্তাবিদদের মধ্যে দেখতে পাই না। বাংলাদেশে ধর্ম, সেক্যুলারিজম, রাজনীতি ও সমাজের সম্পর্ক বিষয়ে পঠন-পাঠন, গবেষণা এবং এ বিষয়ে নির্ভয়ে বিতর্কের অনুকূল পরিবেশ গড়ে তুলতে না পারলে আমরা পুরোনো চিন্তার বৃত্তচক্রে ঘুরপাক খেতে থাকব। এ থেকে বেরোনোর পথ খোঁজার দায়িত্ব অন্যের ওপরে চাপিয়ে দিয়ে আমরা এটা আশা করতে পারি না যে হঠাৎ করে একটা সমাধান তৈরি হবে। এটাও মনে করার কারণ নেই যে এর বিতর্কে ভিন্নমতাবলম্বীদের যুক্তির সবটাই অগ্রহণযোগ্য। যুক্তিসম্পন্ন নিরাবেগ বিতর্কের মধ্যেই সমাধানের পথ খুঁজতে হবে।

ধর্মভিত্তিক রাজনীতি, ধর্মভিত্তিক দল এবং ধর্ম ও রাজনীতির সম্পর্ক বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সমাধান হঠাৎ করে পাওয়া যাবে না। তবে সেই সমাধানের জন্য কেবল ঘটনাধারার ওপর নির্ভর করাও যথাযথ নয়; শক্তি প্রয়োগের মধ্যে এ প্রশ্নের সমাধান নিহিত নয়। বরং এসব প্রশ্নের উত্তর নিহিত নাগরিকদের সক্রিয়তার মধ্যেই। এ বিষয়ে জোরদার আলোচনার মধ্য দিয়ে অবশ্যই একটা নতুন পথ বের করতে পারব বলেই আমার প্রত্যাশা।

প্রকাশকালঃ জুন ১, ২০১৩।