ইমন কল্যাণ

অবান্তর হোক মন তির্যক পূর্বতা বেয়ে,
প্রাত্যহিক ঘের থেকে।
মুহুর্তের ব্ৰহ্মসূত্র জ্বলা
সেই বিন্দু: ফিরে যেন দেখে
অনন্যতার নীল তলে

আগ্নিক আয়ুতে গাছ ওঠে
ওক্‌-অ্যাকান্থাস্
বনস্পতি ওষধির শ্যামে
সোম দ্রাক্ষা গলা;

অদ্বৈত হাওয়ায় ঝাঁকে-ঝাঁকে
নীরেখ আকাশে বিশ্ব চলে।।

প্রথম নিত্যের প্রাণ: অপ্রতিম ধারা
তন্মাত্র এ ধরণীর,
তাতে পাড়ি দেয় জনে-জনে
উদ্বেল দূরের জলে;
কারা খেলা করে ঘাটে, হুলু দেয়, কারা
পাট ধান চষে,
স্থিতিলগ্নে নিবাত অচলা
মঙ্গল ঘরের মণি;
বাড়ি বেঁধে হঠাৎ কে যায়
ফেরে না রাস্তায় আর
কথার রশ্মিতে আকস্মিক
আড়ে গাঁথা প্রত্যক্ষতা,
তারপর থেমে যাওয়া ধ্বনি
প্রতিধ্বনি কিছুক্ষণ।।