নিশ্চয় অনেক ভালো, ক্যান্সসের ক্লিষ্ট মাঠে গিয়ে
ভূলুণ্ঠিত শস্য-হাতে অদৃশ্য চোখের জলে মানা
দগ্ধ প্রজ্ঞা: অনাবৃষ্টি।
তারপরে সেই দীক্ষা আনা
যার মন্ত্রে ট্র্যাক্টর, বৈদ্যুৎ কোদাল কাস্তে নিয়ে
অন্নপূর্ণা আবির্ভূতা,
ভূত-পাথরের মূর্তি নয়
বিজ্ঞানে কল্যাণে সন্ধি,
ল্যাবরেটরির পরিচয়
কর্মযোগে।
দক্ষিণেশ্বরের কালী জিহ্বা নিরুত্তর
লাল হয়ে র’ন ভক্তঘেরা,
উত্তরসাধক চলে
মূর্তিহানা দলে-দলে,
জানে তারা কৃষির ঈশ্বর
মাটিতে বীজের শক্তি, আদ্য শক্তি, চিত্তে তেজোবলে
উদ্ভাবিত সংঘতায় দেশে-দেশে।
মারী-জয়ী তা’রা
সবাই জানেনি ধ্রুব যেখানে জীবন পূর্ণধারা
বয় শুধু কাটা-খালে ট্যুব-ওয়েলে নয়, তারো পারে
পারমিতা,
তবুও এদের হাতে মনে চারিধারে
পথ খোলা,
যে-পথে পরমা গতি লোকে-লোকে পা’ন
অধিষ্ঠান সর্বজনে, অবিগ্রহ। সূক্ষ্ম প্রতারক,
গুরুপূজা, আপ্তবাক্য, অধিকারীভেদ গুণগান
শুধু হাসি নয়, অপমান এরা বোঝে;
বিশ্বলোক
ঘরে-ঘরে স্বাধিকার, নরজন্মে সমান সম্মান,
-ধিক্ মার্কিনে এসে মিথ্যা ধর্মে পূর্বী প্রচারক।।