অমরাবতী

সেও তো শরীর, সূক্ষ্ম, ব্যাপ্ত তনু, আমার শরীর
সুষম আকাশ-তন্তু মনে গাঁথা হ’য়ে অন্তর্জাল,
প্রসারিত সুনিবিড় এক জীবনের আয়ুকাল।

স্ফটিক আলোয় স্বচ্ছ ইন্দ্রিয় উজ্জ্বল হ’লো স্থির,
মিলন অপার কেন্দ্র, যেন প্রাণে নেই অন্তরাল,
মুহূর্তে বিদীর্ণ কত নিটোল মণির মালা গাঁথা।

সত্তার অঘ্রানে সোনা, ধান ভানা, আবিষ্ট গভীর
ঘরের অসংখ্য কাজে কার হাসি জাগে নব সুখে,
দোলনায় দোলে শিশু, তালি দেয়, মধু রৌদ্রদাতা

শর্ষে তিসির খেতে ঢেলেছে সবুজ মজ্জা রস,
সংযুক্ত বাসনা পুষ্পে, মেঘে কালো, শ্রাবণের বুকে
দূরের ঘনানো কান্না, এই আয়ু দেহে হ’লো পাতা

বহু জীবনের সন্ধি, ভিন্ন দেশ, ইচ্ছামন্ত্রে বশ
বায়ুতরী পারাপার এরোড্রোমে, রুদ্র ভাগ্যজয়
মহাদেশ আলোকিত মানুষের গড়া লোকালয়

ঝঞ্চার সমুদ্র কেটে; স্রোতে বয় উত্তর জীবন
মাটির ভবিষ্য বেয়ে সংহতির দুরূহ ইশারা
নতুন নগরে, গ্রামে। এখানে সায়াহ্নে দৈবক্ষণ

সমস্ত ঈপ্সিত ধ্যানে এনেছিলো যুগ্ম আঁখিতারা;
তুলসী-তলায় আঁকা সিঁড়িশেষে অমরাবতীর
আরো কোন কায়া পারে ছায়ায় অদৃশ্য ঢাকে তীর।।