রাগিণী

ধরো কি ধ্বনির জালে
ধ্যান তার, হে বীণাবাদিনী,
একাকী প্রাঙ্গণে ব’সে দূরাশ্রয়ী ভোরে
মণিকর্ণিকার ঘাটে চেয়ে-
ভৈঁরোর আলাপে।
তন্ত্রী কাঁপে মীড়ে-মীড়ে ঢেউয়ে-ঢেউয়ে
গঙ্গার প্রত্যেক পুণ্য বিন্দু জলে,
স্রোতে সূর্য সমুদ্র স্যন্দনা।
সংগীতের ধারা বেয়ে তুমি
তাকে পাও যে-গেছে সংগমে,
যে-আছে অলোক দৃষ্টি মেলে
তোমার মুখের দিকে, পূজা-দীপে,
কখনো প্রত্যুষে আহ্নিকে।
তুমি শব্দে-শব্দে মূর্ছনায়
তারি দূরাগত সমাগম
খুঁজে পাও শ্রুতি;
অশ্রুর নির্ঝরে জ্বলজ্বল
দ্রুত হয় ঝংকারে-ঝংকারে গীতাঙ্কনে
তোমার তন্ময় আঙুল,
এই শব্দমূর্তি বন্দনায়।।