যতই গড়ি সাধের তরী, যতই করি আশা,
এক তুফানে ডুবায় তারে, এমন সর্বনাশা!-
সে এমন সর্বনাশা।
আবার যখন আঁধার রাতে কূলের পাই না দিশা,
হালটি আমার লয় গো কেড়ে, এমন ভালোবাসা;-
তার এমন ভালোবাসা।
সাগর-মাঝে প্রলয় নাচে হুহুংকারে ধায়;
অন্তরের অগ্নি ক্রোধে বিশ্বেরে নাচায়।
সে বিশ্বেরে নাচায়-
আবার ভোরের পুবে নিশির নভে এমন চাওয়া চায়।
তরুর ডালে শিশুর গলে এমন গাওয়া গায়-
সে এমন গাওয়া গায়।
কখনো কাঁদায়, কখনো হাসায়, কখনো যে গো মারে।
এই পাগলের লীলা বলে বুঝতে কে-বা পারে?
তারে বুঝতে কেবা পারে?
যখন থাকি ঘুমের ঘোরে আমার সকল বিভব হরে;
তবু আমার পরান পাগল ওই পাগলের তরে-
হায়, ওই পাগলের তরে।
(রামায়ণী)