পরের শিকল ভাঙিস পরে,
নিজের নিগড় ভাঙ রে ভাই।
আপন কারায় বন্ধ তোরা,
পরের কারায় বন্দী তাই।
হা রে মূর্খ, হা রে অন্ধ,
ভাইয়ে ভাইয়ে করিস দ্বন্দ্ব!
দেশের শক্তি করিস মন্দ-
তোদের তুচ্ছ করে তাই সবাই।
সার ত্যজিয়ে খোসার বড়াই!
তাই মন্দিরে মসৃজিদে লড়াই।
প্রবেশ ক’রে দেখ্রে দু ভাই-
অন্দরে যে একজনাই।
দেশ-মাতার আর বিশ্ব-মাতার
ম্লেচ্ছ কাফের এক পরিবার।
নয় তুরস্ক, নয়কো তাতার-
জন্ম-মৃত্যু এই যে ঠাঁই।
ভিন্ন জাত আর ভিন্ন বংশ-
এক জাতি তাই এক শো অংশ।
হিন্দু রে, তুই হবি ধ্বংস
না ঘুচালে এই বালাই।
ভাইকে ছুঁলে পদতলে
শুদ্ধ হোস তুই গঙ্গাজলে;
ওরে সেই অছুঁৎ ছেলেই তুলে কোলে
তুষ্ট হন যে গঙ্গা-মাঈ।
খাবি নে জল ভাইয়ের দেওয়া?
খাস নে অন্ন তাদের ছোওয়া?
ওরে, শবরীর আধ-খাওয়া মেওয়া
রঘুনাথ তো খেলেন তাই।
তোরাই আবার সভাস্থলে
হাঁকিস সাম্য উচ্চরোলে,
সম-তন্ত্র চাস সকলে-
বিশ্বপ্রেমের দিস দোহাই!
জাতির গলায় জাতের ফাঁস,
ধর্ম করছে ধর্মনাশ,
নিজের পায়ে পরলি পাশ,
দাসত্ব ঘোচে না তাই।
ছাড়্ দেখি রে রেষারেষি,
কর্ প্রাণে প্রাণে মেশামেশি।
তখন তোদের সব বিদেশী
দাস না ব’লে বলবে ভাই।
(মিশ্র বেহাগ)