বিদ্রোহী

পর্বতের অন্য প্রান্তে ঝর্ঝরিয়া ঝরে রাত্রিদিন
নির্ঝরিণী;
এ মরুপ্রান্তে তৃষ্ণা হল শান্তিহীন
পলাতকা মাধুর্যের কলস্বরে।
শুধু ওই ধ্বনি
তৃষিত চিত্তের যেন বিদ্যুতে খচিত বজ্রমণি
বেদনায় দোলে বক্ষে।
কৌতুকচ্ছুরিত হাস্য তার
মর্মের শিরায় মোর তীব্রবেগে করিছে বিস্তার
জ্বালাময় নৃত্যস্রোত।
ওই ধ্বনি আমার স্বপন
চঞ্চলিতে চাহে তার বঞ্চনায়।
মূঢ়ের মতন
ভুলিব না তাহে কভু।
জানিব মানিব নিঃসংশয়
দুর্লভেরে মিলিবে না;
করিব কঠোর বীর্যে জয়
ব্যর্থ দুরাশারে মোর।
চিরজন্ম দিব অভিশাপ
দয়ারিক্ত দুর্গমেরে।
আশাহারা বিচ্ছেদের তাপ
দুঃসহ দাহনে তার দীপ্ত করি হানিব বিদ্রোহ
অকিঞ্চন অদৃষ্টেরে।
পুষিব না ভিক্ষুকের মোহ।

চন্দননগর
৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৩৪২