নিরন্ন মানুষের দেশে

[অত্যাচারের অমোঘ নিয়মে সুখী অসুখীর বিচ্ছেদ ভেঙে কবে যে সবাই বাঁচবে।
হেমন্ত/বিষ্ণুদে]

-আমিও ভাবি তাই; দিনান্তে দিগন্তে বাজে
নরবলী মড়ক-সঙ্গীক। নিরন্ন মানুষের দেশে মাঝে মাঝে
তাই মৃত্যুঞ্জয়ী হতে চাই। যদিও, পিতৃকালের শানিত তরবারী নাই
তবুও পথে পথে ঘুরি; যদিও প্রাণের সীমানায় পাই
ঐশীর সীমা, অকাল বোধনে।

আমিও ভাই তাই, নিরন্ন মানুষের দেশে
অত্যাচারের অমোঘ নিয়মে সুখী, আমি-তুমি, নানা পরিবেশে
রাজণ্য অত্যাচারে, নানা ধর্মঘটে, কখনোবা
মারী ও বন্যাতে। দিনে দিনে শুধু জনসভা
এদেশের আনাচে কানাচে; অথচ অসুখী বিচ্ছেদ ভেঙে মনে-
প্রাণে বাঁচা যে কঠিন দায়; আমাদের নবজীবনের উজ্জীবনে।

৭/২/১৯৮৩