দেহ পুড়ে সোনার বাংলা
উড়িতেছে জয় নিশান
কী মনোহর শহর বন্দর
বৃহৎ ব্রহ্মাণ্ডের সমান।।
রাজধানী ঢাকার শহর
সহস্র ধন কী মনোহর
পরম আত্মা হয় গভর্নর
ভ্রু-মধ্যে যার বাসস্থান
প্রধানমন্ত্রী আছে তিনজন
ব্রহ্মা-বিষ্ণু-পঞ্চাজন
সৃজন পালন সংহারণ
তারাই করেন সমাধান।।
সত্ত্ব-রজঃ-তমঃ আইনে
শাসন করে এ তিনজনে
তাদের সামরিক শাসনে
জড়সড় সবার প্রাণ
রাজশাহী হয় কণ্ঠমূলে
‘বিষুদক্ষ ষোড়শ দলে’
সরস্বতীর কলাকৌশলে
বাগশক্তি মুখে যোগান।।
খুলনা বিভাগে
যাতায়াত হয় নদীপথে
রেলগাড়ি স্টিমার
সেখানেতে হয় নির্মাণ
কত রঙ্গের মিশনারি
কল-কব্জা সারি সারি
কাম বায়ু করে ড্রাইভারি
ইঞ্জিনিয়ার হইল জ্ঞান।।
সে দেশে দ্বাদশ বলে
ঊনপঞ্চাশ বায়ু চলে
আত্মারামে শবের হাতে
দশ বায়ু আছে প্রধান
নাগ কুৰ্ম্ম কিঙ্কর হয়
দেবদত্ত ধনঞ্জয়
অপান, প্রাণ, সমান, উদান
সর্বাঙ্গে আছে ব্যান।।
মণিপুরে মালের ভাণ্ডার
আত্মারাম আছে চৌকিদার
বাহাত্তর হাজার রাস্তায়
মাল করে আদান প্রদান
এখানে দেহের বরিশাল
নদী নালা কতই খাল
শস্যভাণ্ডার যার উপাধি
গোলা ভরা থাকে ধান।।
গুহ্য মূলে সিলেট জেলা
জীবাত্মা করে খেলা
লিঙ্গমূলে চট্টগ্রাম
যাবে বলে স্বাধিষ্ঠান
বিদেশে মাল হয় রপ্তানি
অনেকে করে আমদানি
লাভ-লোকসানের হানাহানি
ভূত আত্মা রয় নিগাবান।।
বিপক্ষে বিদ্রোহী ব্যূহ
কাম ক্রোধ লোভ মোহ
মদ মাৎসর্য- এ ছয়জনের
কুমতি হয় গার্জিয়ান
এসব বিদ্রোহী দলে
থাকে রাজ্যের অমঙ্গলে
কূটবুদ্ধির কলাকৌশলে
রাজ্য চায় করতে শ্মশান।।
বারোজন পুলিশ সাজাইয়া
আঠারোজন সৈন্য লইয়া
সামরিক শাসন দিয়া
সুমতি করো প্রধান
চলবে রাজ্য সুশৃঙ্খলে
বিদ্রোহী আসিবে কন্ট্রোলে
পাগল দুর্বিন শাহ বলে
গাইলো দেহের নিগুঢ় গান।।
(দেহতত্ত্ব)