দেশে যাইবার সাড়া হলো

দেশে যাইবার সাড়া হলো
মনে লাগে ভয়
হাড্ডি-চামড়া সার হইয়াছে
লাঠি দিয়া চলতে হয়।।

কিছু নাই আমার
জগৎ-মাজার
দুটি চোখ মুজিলে
দেখি দুনিয়া আঁধার স্ত্রী-পুত্র-ধন
কেহ নয় আপন
অসময় পড়িলে ভবে
কেহ সঙ্গের সাথী নয়।।

মুখে নাই রুচি
কী খাইয়া বাঁচি
দাঁত পড়িল
চুল পাকিল
আর কয়দিন আছি
আপন স্ত্রী সে হইল বৈরি
আমাকে দুর্বল দেখিয়া
অন্য স্বামী ধরতে কয়।।

ছেলে কয়, বুড়া তুই
নষ্টের গোঁড়া
বসে বসে খেতে চাও
আমি হই সারা
আমি হলাম সিয়ানা
আমায় বিয়া করায় না
বুড়াকালে স্ত্রী নিয়া
একা গৃহ শুইয়া রয়।।

আপন মোদের ভাই
তারে খাওয়াই আর পরাই
অতি যত্ন করে সদাই
কাছে রাখতে চাই
ভাই বলে দাদা
ভাগ করো আধা
আমাকে দেখতে পারো না
আলাদা হইবার মনে লয়।।

সব হইয়াছে পর
গায়ে নিত্য আসে জ্বর
অগ্নি মন্দ ক্ষুধা
বন্ধ দেহ ঝরঝর
দেহ হলো নাশ
উঠে নানান জাতের কাশ
দুর্বিন শাহ কয় এত জ্বালা
আর কত অন্তরে সয়।।

(আখেরতত্ত্ব)