হায় দুঃখ উঠে জ্বলিয়া

হায় দুঃখ উঠে জ্বলিয়া
মুসলিমের পুত্রধন
ছিল তারা দুইজন
ঘটল বিড়ম্বন কুফাতে গিয়া।।

এজিদের চক্রান্তে, কুফার জঙ্গেতে
জিয়াদের হাতে মরে মুসলিম মিয়া
মুসলিমের দুই সন্তান, ভাবিয়া নিদান
খুরমার বাগানে ছাপাইল যাইয়া।।

হারেসের বিবি, দেখিয়া ছবি
আপনার ঘরে গেল নিয়া
নিয়া সে নির্জনে, অতি গোপনে
দুইজনকে রাখে ছাপাইয়া।।

হারেস বেইমান জানিয়া সন্ধান
মারিতে দুজনকে চলে কুদিয়া
হারেসের বিবি বুঝিয়া খুবি
হারেসের হাতে ধরিল গিয়া।।

ওদের মেরো না, করি তোমায় মানা
হবে শক্ত গুনা দেখো ভাবিয়া
মনে আশা তার পাব পুরস্কার
নিয়া তলোয়ার চলিল ধাইয়া।।

আতি ক্রোধভরে বিবিকে মারে
শেষে দুজনকে ধরে যাইয়া
বড়ো ভাই দেখে কয় করিয়া বিনয়
ভাইকে মেরো না আমায় রাখিয়া।।

এ বলিয়া তখন ভাই দুইজন
একেরে অন্যে ধরে জড়াইয়া
জড়ান অবস্থায় তলোয়ার চালায়
এক সঙ্গে দুইজনকে ফেলে কাটিয়া।।

মরা লাশ নিলো, জলেতে ফেলিল
পানি দিলো আবার আড়ায় তুলিয়া
দেখে এই ব্যাপার হলো চমৎকার
গাড়িয়া রাখে কবরে নিয়া।।

মাটি ধৈর্য ধরে না তাদেরে রাখে না
উঠিল দুইজন মাটি ফুড়িয়া
দেইখে এই কাণ্ড কাঁদিল ব্রহ্মাণ্ড
হারেস জিয়াদের কাছে গেল চলিয়া।।

যখন জিয়াদে শুনিল মনে দুঃখ পাইল
হারেসকে মারিল শুল্লি দিয়া
যেমনি কর্ম তেমনি ফল খোদারই কৌশল
দুর্বিন শাহ পাগল গেল বলিয়া।।

(কারবালা স্মরণে)