যদি যাবে সাধন পথে
ও যদি সাধন পথে
মায়া বন্ধন করে ছেদন
বসো যাইয়া কুম্ভকেতে।।
করো যদি প্রাণায়াম
সিদ্ধ হবে মনস্কাম
লোভ মোহ ক্রোধ কাম
আসিবে বশেতে।
ষট চক্র ভেদ করে লও
আপনা দেহাতে
সুষুম্না ছিদ্র দিয়া
উঠো যাইয়া সহস্রাতে।।
প্রথম চক্র মূলাধার
রক্ত বর্ণ হয় তাহার
মায়াডাকিনী শক্তি
আছে সে পদ্মেতে।
ব হইতে শ পর্যন্ত
চারি অক্ষরেতে
সাড়ে তিন প্যাঁচ দিয়ে রাখছে
কুণ্ডলিনী শিরের সাথে।।
ভুজঙ্গিনী রূপ ধরি
আছে সেই যোগেশ্বরী
ভক্তি যোগ সাধন করি
জাগাও নিদ্রা হতে।।
একাক্ষর মহামন্ত্রে
তিনটি বর্ণ তাতে
চারি মোলো আট দ্বিগুণ করে
উঠাও নিয়া পঞ্চ আত্মাতে।।
পরম শির পরম আত্মা
ব্ৰহ্মাণ্ড যাহারই সত্তা
জীব শিব জীবাত্মা
ভিন্ন মূর্তি তাতে।
শিঙা ডুম্বুর করে শিব
আছে সহস্রাতে
বীজমন্ত্র করে রোপন
উঠো যাইয়া আকাশেতে।।
জীবাত্মা চতুর্দলে
আছে সেই মায়ের কোলে
ষড়দলে রাখিনী শক্তি
ভূতাত্মারই সাথে।
আছে সে লাকিনী শক্তি
দশম দলেতে
আত্মারাম সেখানে থাকে
উক্তি দিলো শাস্ত্রমতে।।
দ্বাদশ দল চক্র লেখা
আত্ম রামেশ্বর সেথা
কাকিনী নামেতে শক্তি
তাহার উপরেতে।
পাস করাল ভয়াবহ
তার চতুর্ভুজেতে
বায়ু শিক্ষা পাবে দেখা
যাও যদি মন তার কাছেতে।।
যোড়শ দল কণ্ঠে জানি
সেথা রয় শক্তি সাফিনী
দশভূজা শিব যিনি
আছে তার সঙ্গেতে।
আছে সে হাকিনী শক্তি
দ্বিদল চক্রেতে
দুইটি চন্দ্র ধরা আছে
সে রমণীর দুইটি হাতে।।
সহস্র দল চক্র যেথা
বিরাজ করে পরম আত্মা
মহাশক্তি পরম শিব
আছে একযোগেতে।
সে দেশে যাবে যেজন
সাধন বলেতে
দুর্বিন শাহ কয় জন্মমরণ
হবে বারণ এই ভবেতে।।
(সাধনতত্ত্ব)