কামনদীতে ডুব দিয়া
মইর না রে পাগল মনা
কামবশে থাক নদীর তটে
যেদিন নদীর জোয়ার ছোটে
নৌকা নিয়া সেদিন হও রওয়ানা।।
আছে একটা কুম্ভীরানি
নামে মায়া রাক্ষসিনী
কাবু পাইলে ছাড়িয়া দিবে না
হুংকারে ঘাড়ে ধরিবে
জোরেতে গিলিয়া খাবে
খোদার দোহাই দিলেও ছাড়বে না।।
সে নদীতে যায় না কখন
চাঁদের আলো রবির কিরণ
শুনতে সোজা, বুঝতে কেউ পারে না
শুকনা নদীর মধ্যে চর
ডুব দিলে ভাসে লহর
উপরে তলা নিচে কূল মিলে না।।
শুরুর কাছে নেওয়ার মন্ত্র
পাবে একটা মহাযন্ত্র
রাক্ষসিনী হবে তাই সাধনা
উপরে এক মহাপুরুষ
অগ্নিমুখে ক্রোধ ও রোষ
মানুষ পাইলে ধরে খায় সে জনা।।
জিতা মানুষ ধরে খায়
মরণ দেখলে পলাইয়া যায়
মরার ধারে কখনও আসে না
দুর্বিন শাহ কয় বেটারে
মরা হইয়া ধরো জোরে
ধরলে তারে ভবে কেউ মরবে না।।
(কামতত্ত্ব)