কামসাগরে অতি জোরে চলছে যৌবনধারা
কর্মদোষে নতুন বয়সে হলেম স্বামী হারা
দুঃখ বলি কার কাছে রে।।
সতী নারীর পতি বিনা অসার জীবন
আহার নিদ্রা ত্যাজ্য করে সার হলো কান্দন।।
শুকনা নদীর কিবা শোভা না থাকিলে জল
স্বামী হারা হলে নারী বাঁচিয়া কী ফল।।
আগে যদি জানিতাম বন্ধু যাবে রে ছাড়িয়া
তবে কি আর সোনার যৌবন তারে দেই সঁপিয়া।।
জল হারাইয়া শুকনায় পড়ে কান্দে যেন মীন
সেই ভাবে প্রাণবন্ধে ঘটাইল দুর্দিন।।
বনপোড়া হরিণী কান্দে আশ্রয়হীন হইয়া
যেথা-সেথা শিকারিগণ ধরে জাল পাতিয়া।।
সেইমতো মোর প্রাণবন্ধু সাজিয়া শিকারি
প্রেমজালে বন্দি মুই অবলা নারী।।
মেঘ না পাইয়া পন্থে চাইয়া কান্দে চাতকিনী
বন্ধু বিনা দিবানিশি কান্দি অভাগিনী।।
দুর্বিন শাহ কয় দরদি ভবে কী আর আছে
দুঃখের কথা বলবে যাইয়া প্রাণবন্ধুয়ার কাছে।।
(কামতত্ত্ব)