মোহাম্মদ রাসুলুল্লা নায়েবে
আল্লার যার শাফায়াতের আশা উম্মত সবার।।
একদিন ফাতেমা জিজ্ঞাসা করে, নবিজির হুজুরে
বলে দাও বাবা মোরে, একটি সমাচার
হাশরে উম্মতে যবে, নফছি নফছি বলে কাঁদবে
কী প্রকারে উম্মত আপনি করিবা উদ্ধার।।
নবিজি বলেন ফাতেমা, বেটি যে আমার শোনো না
কীসে উম্মত উদ্ধারিব শুনো একবার
চারি আসহাবে ডাকিয়া, বলিব ফুকারিয়া
যে যাহার আপনা কাজে থেকো হুঁশিয়ার।।
কবর হাশরে, উম্মত সবাকারে
কলেমা নামাজের জোরে করে দেব পার
নেনকির মনকিরের হাতে, বিষয় সওয়ালেতে
ইমানের তুফায়েলে হইবেন উদ্ধার।।
বলব আবুবকর সিদ্দিকেরে তুমি যাও মিজানের ধারে
নেকি বদি ওজন কালে থেকো হুশিয়ার
হাশরে উম্মতে যবে, নেকিতে হালকা হবে
গুনাহ বখশাইয়া দিবে হুজুরে আল্লার।।
বলিব খাত্তাব উমরে, তুমি যাও কাওসারের ধারে
আবে-কাওসারের পানি জানিও তোমার
হাসরে উম্মতে যবে, পানি পানি বলে কাঁদবে
উম্মতকে পানি পিলাইবে হইয়া হুঁশিয়ার।।
বলিব উসমান গণিরে, তুমি যাও দোজখের দ্বারে
দোজখে যে নাহি ঘিরে উম্মত আমার
উম্মত দোজখে ঘিরে যাইয়া ধরিয়া তারে
কুদরতি জোরে তুমি করে দাও উদ্ধার।।
বলিব হজরত আলিরে, তুমি যাও পুলের ধারে
হাতে ধরে উম্মত আমার করে দাও পার
পুলসিরাতের পুলের কথা, বড়োই কঠিন সেথা
কেশের হাকমে গাঁথা, জানো হীরার ধার।।
হাশরের ময়দানে সবে, বাহাত্তর কাতার হবে
নফছি নফছি বলে কাঁদবে করে হাহাকার
নবি বলবেন হাসন হুসন, ফাতেমাকে ডাকো এখন
তাল্লাশিয়া উম্মতগণ, আনো গো আমার।।
খোদাতালার হুজুরেতে, নবিজি থাকিয়া তাতে
উকিলের সুরতে থেকে দেখিবেন বিচার
উম্মতি উম্মতি রবে, সদায় ফুকারিবে
গুনাহ খাতা বখশাইবে উম্মত সবাকার।।
এমন দয়ালু নবি, দুজাহানে যার খুবি
তাঁর পদে মতি-ভক্তি নাই যে আমার
এখন এই পর্যন্ত দিয়ে ক্ষান্ত
দুর্বিন শাহ কয় অধিকন্তু বলব না আর।।
(নবি স্মরণে)