অচেনা এক জংলা পাখি
থাকে মাটির পিঞ্জিরায়
ধরা দেয় না, ঘরে-বাইরে
আসা-যাওয়া সর্বদায়।।
কর্মফলে ভূমণ্ডলে
পাখিটা চলে আইল
কাঁচা মাটির শূন্য ঘরে
আসিয়া বাসা দিলো
প্রেমের ফাদে বন্ধ রইল
দিন ফুরালে চলে যায়।।
হাড়ের থুনি চামড়ার ছানি
রগের টানা কী সুন্দর
চোদ্দো পোয়া পাহাড়ের দিকে
বান্ধিয়াছে দেহঘর
পাখি থাকে ঘরের ভিতর
রংমহল বালাখানায়।।
দুগ্ধ কলা মিঠাই ছানা
খাওয়াই কত যতনে
ডাক শুনে না ধরা দেয় না
কথা কয় না মোর সনে
দেশের কথা হলে মনে
ছাড়িয়া যাবে আমায়।।
পাখির একটা কঠিন রীতি
স্বভাব তারই অধরা
সাধের পিঞ্জর খালি করে
হঠাৎ দিবে উড়া
দুর্বিন শাহর মাটির পিঞ্জিরা
পড়িয়া রবে ধরায়।।
(জীব-পরমতত্ত্ব)