অকূল নদীর পারে রে
বসে অন্ধকারে রে
বেলা শেষে কান্দি একা
পার হইবার আশে রে।।
পার হইবার আশে
গেলাম ভব নদীর পারে রে
আমারে দেখিয়া
নদীর ঢেউ উঠে লহরে রে
নাও আছে খেওয়ানি নাই
নৌকা ভাসে দূরে রে
সাঁতার কাটে যাইতে নারি
ভয় দেখায় কুম্ভীরে রে।।
সেই পারে প্রাণবন্ধের বাড়ি
উজানি নগরে রে
কেমনে যাইব ধারে
নদী ভরা পানি রে
কত মাঝি নাও বাইয়া যায়
উজান-ভাটি দিয়া রে
ডাক দিলে শোনে না
আমায় দুঃখিনী জানিয়া রে।।
হায় রে, নিদয়া বন্ধু
দয়া করো মোরে রে
মাঝির বেশে নৌকায় তুলে
পার করো আমারে রে
কত বা কাদিব আমি
তোমার আসার আশে রে
দুর্বিন শাহ আর কত দিন
থাকবে বিদেশে রে।।
(পাথরঘাটা)