রাই কেন তুই হইলে এমন

রাই কেন তুই হইলে এমন
দিয়া মুখের হাসি আমায় ভালোবাসি
ফিরাইয়া একবার দেখ নয়ন।।

বহুদিনের পরে দেখা ব্রজপুরে
আনন্দ বয় আজ হলো দরশন
বিধি ছিল বাদী এ জনম অবধি
কর্মের ফেরে নাকি হলো মিলন।।

কাছেতে বসিয়া মধুমুখে হাসিয়া
প্রেমের জ্বালা করো গো বারণ
বহুদিনের দুঃখী শুন বিধুমুখী
দিয়া সে আঁখি হলো জ্বালাতন।।

জ্বলে তব যাতনায় তমালেরই তলায়
কোকিলার স্বরে করি বাঁশিতে রোদন
সে দুঃখ মিটাব মিলন হলে তব
কাল কদম্ব কলি ফুটিবে এখন।।

নয়ন তুলিয়া নয়ন পানে চাহিয়া
মধুমাখা স্বরে করো আলাপন
শাশুড়ি ননদী এসে দেখে যদি
দুর্বিন শাহ বলে নষ্ট করিবে মিলন।।

(শ্যামবিচ্ছেদ)