লেখক পরিচিত

মেজর এম. এ. জলিল এ দেশের একজন সাহসী মানুষের নাম। তাঁর কথা ভাবলেই এক দেশপ্রেমিক যোদ্ধার ছবি আমাদের সামনে এসে দাঁড়ায়। সৈনিক জীবন তাঁকে কেবল সাহসীই বানায়নি, তিনি ছিলেন কষ্টসহিষ্ণু ও সুশৃঙ্খল একজন মানুষ। আর মুক্তিযুদ্ধ তাঁকে করেছিল লড়াকু। সুদীর্ঘ ১৩ বছর জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একটি লক্ষ্যকে নিয়ে তিনি কাজ করেছেন। আমৃত্যু সংগ্রামী জীবন তাঁকে করেছিল প্রতিবাদী, জালিম-শোষক ও লুটেরা শাসনের বিরুদ্ধে আপোষহীন। অবশেষে চিন্তার পরিবর্তন ও ইসলামের মূল ধারায় প্রত্যাবর্তন তার মধ্যে পূর্ণতা এনেছিল।

এই প্রসঙ্গে মেজর জলিল নিজেই বলেছেন, ‘মানুষের অন্তরের অন্তঃস্থলে রয়েছে সত্য এবং মুক্তি অনুসন্ধানের আজন্ম পিপাসা। আমি সেই পিপাসায় কাতর হয়েই জাসদ থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছি। এটা আমার অক্ষমতা বলে বিবেচিত হতে পারে, তবে আমি আমার অক্ষমতার জন্য মোটেই বিব্রত নই। … আমার জীবনের লক্ষ্য আজ স্থির- আমার লক্ষ্য অর্জনে আমি অটল। অন্যায়ের কাছে মাথা নত করা আমার স্বভাব নয়। এটাই একজন মুসলমানের প্রকৃত সীফাত।’

এই অকুতোভয়, দেশপ্রেমিক এবং নিজকে মুসলমান হিসেবে ঘোষণা দেয়ার সাহসী মানুষটির জীবনের বিভিন্ন বাঁক সম্পর্কে জানার কৌতুহল সবার। বিশেষ করে তরুণদের কাছে মেজর জলিল এক বিস্ময়কর চরিত্রের নাম। আমরা এখানে মেজর জলিলের জীবন প্রবাহের একটি সংক্ষিপ্ত পরিচিতি তুলে ধরলাম।

১৯৪২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারী বরিশাল জেলার উজিরপুর থানা সদরে মামার বাড়িতে মেজর জলিলের জন্ম। পিতা- জনাব আলী মিয়া; মাতা- রাবেয়া খাতুন। তার জন্মের তিন মাস আগে পিতা আলী মিয়া মারা যান। এতিম হয়ে মেজর জলিল জন্ম নেন। জন্মের শুরু থেকে তিনি জীবনের কঠোরতার মুখোমুখি হন। মায়ের স্নেহ-ভালবাসাই ছিল তার জীবন চলার পথের একমাত্র পাথেয়।

১৯৬০ সালে মেজর জলিল উজিরপুর ডব্লিউ. বি. ইনস্টিটিউশন থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে ম্যাট্রিক পাস করেন। স্কুল জীবনেই তিনি নিজেকে লেখালেখির সঙ্গে জড়িয়ে ফেলেছিলেন। ঐ সময় তিনি ‘পথের কাঙাল’ ও ‘রীতি’ নামে দুটি উপন্যাস লেখেন। দুর্ভাগ্যজনক হলো, পরে উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি দু’টি হারিয়ে যায়।

১৯৬১ সালে জলিল ইয়াং ক্যাডেটে ভর্তি হন। রাওয়ালপিন্ডির মারিতে তিনি শিক্ষাগ্রহণ করেন। ১৯৬৩ সালে ইন্টারমিডিয়েট পাস করে পাকিস্তানের কাবুলে সামরিক একাডেমিতে প্রশিক্ষণ নেন। ১৯৬৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি কমিশন লাভ করেন এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ট্যাঙ্ক বাহিনীতে যোগ দেন। ঐ বছর ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ১২নং বেঙ্গল রেজিমেন্টের অফিসার হিসেবে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।

১৯৬৬ সালে মেজর জলিল পাকিস্তান সামরিক একাডেমি থেকে গ্রাজুয়েশন লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি মুলতান থেকে ইতিহাসে এম. এ. ডিগ্রি নেন। একটি বিষয় লক্ষণীয় যে, পড়াশুনার প্রতি তার একটা বিশেষ আকর্ষণ ছিল। সামরিক বাহিনীর লোকজনের মধ্যে সাধারণত এমনটি খুব কমই দেখা যায়।

অসুস্থ মাকে দেখতে এক মাসের ছুটি নিয়ে ১৯৭১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারী তিনি দেশে আসেন। কিন্তু এই সময় তৎকালীন পাকিস্তানের রাজনীতিতে একটা টলটলায়মান অবস্থা বিরাজ করছিল। ছুটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও তিনি তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানে যাওয়া থেকে বিরত থাকেন। অত্যন্ত রাজনৈতিক সচেতন এই মানুষটি রাজনীতির শেষ অবস্থাটার শেষ দেখার অপেক্ষায় থাকেন।

২৫ মার্চের কালোরাত- পাকিস্তানের ইতিহাসে গোটা চেহারাটাই পাল্টে দেয়। ২৬ মার্চ থেকেই মেজর জলিল মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনে নিজেকে নিয়োজিত করেন। ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত বরিশাল পটুয়াখালিকে তিনি মুক্ত অঞ্চল হিসেবে রাখতে সক্ষম হন।

শুরু হলো মুক্তিযোদ্ধা মেজর জলিলের জীবন। ৭ এপ্রিল মেজর জলিল খুলনা রেডিও সেন্টার মুক্ত করতে অপারেশন চালান। ২১ এপ্রিল অস্ত্র সংগ্রহের উদ্দেশ্যে সুন্দরবনের পথ ধরে ভারতে যান। ফিরে এসে ৯নং সেক্টরের প্রধান হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে নিজেকে নিয়োজিত করেন। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী এক লড়াইয়ের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশ জন্ম নেয়।

১৯৭১ সালের ১৮ ডিসেম্বর বরিশালে মেজর জলিলকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। ২১ ডিসেম্বর বরিশাল হেমায়েত খেলার মাঠে এক বিশাল জনসভায় তিনি ভাষণ দেন। এই দুটি জনসভায় এতো বেশি স্বতঃস্ফূর্ত জনতা উপস্থিত হয়েছিল যা বরিশালবাসী তার আগে আর কখনো দেখেনি।

স্বাধীনতার পরপর ভারত বাংলাদেশকে কার্যত একটি প্রদেশ হিসেবে চিহ্নিত করার প্রয়াস পায়। ভারতীয় সেনাবাহিনী বাংলাদেশের সম্পদ ও পাকিস্তানীদের ফেলে যাওয়া অস্ত্রশস্ত্র লুটপাট করে ভারতে নিয়ে যেতে থাকে। যশোরে এমন একটি লুটের মাল বয়ে নেয়া ভারতীয় সেনাবাহিনীর গাড়ি বহরকে বাধা দেয়ায় ৩১ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় মেজর জলিলকে বন্দী করা হয়। যশোর সেনানিবাস অফিস কোয়ার্টারের একটি নির্জন বাড়িতে তাকে আটকে রাখা হয়। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাজবন্দী।

পাঁচ মাস ছয় দিন বন্দী থাকার পর ১৯৭২ সালের ৭ জুলাই মেজর জলিল মুক্তি লাভ করেন। সেক্টর কমান্ডারদের সবাকেই নানান উপাধি দেয়া হলেও তাকে বঞ্চিত করা হয়। ‘৭২’র ৩১ অক্টোবর জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে তিনি রাজনীতিতে নামেন। মেজর জলিলের রাজনীতিতে নামার ঘটনাটি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। কেননা পরবর্তীতে তিনি এই দেশের রাজনীতির অনেক পটপরিবর্তনে প্রভাবশালী ভূমিকা রাখেন।

১৯৭৩ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উজিরপুরসহ ৫টি আসনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে তার বিজয় ছিল নিশ্চিত। কিন্তু তৎকালীন ক্ষমতাধর দল আওয়ামী লীগ তাকে বিজয়ী হতে দেয়নি। বাংলাদেশের রাজনীতিতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট পর্যন্ত শেখ মুজিবের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ছিলেন মেজর জলিল।

১৯৭৪ সালের ১৭ মার্চ জাসদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশ গুলি করলে বেশ কয়েকজন নিহত হয়। মেজর জলিল নিজেও আহত হন। আওয়ামী লীগ সরকার তাকে গ্রেফতার করে। ১৯৭৫ সালে ৮ নভেম্বর তিনি মুক্তিলাভ করেন।

দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন সত্ত্বেও মেজর জলিল ক্ষমতাসীনদের রোষানল থেকে রেহাই পাননি। ১৯৭৫ সালে ২৩ নভেম্বর তাকে আবার গ্রেফতার করা হয়। সামরিক ট্রাইবুনালে কর্নেল তাহের ও মেজর জলিলের ফাঁসি হয়। মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য মেজর জলিলের মৃত্যুদণ্ড মওকুফ করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।

প্রায় সাড়ে চার বছর কারাভোগের পর ১৯৮০ সালের ২৬ মার্চ তিনি মুক্তিলাভ করেন। ১৯৮২ সালের আগস্ট মাসে তিনি টাঙ্গাইলের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের কন্যা সায়মা আকতারকে বিয়ে করেন। সায়মা জলিল দম্পতির দুই কন্যা সারাহ জলিল ও ফারাহ জলিল।

এরপর থেকেই মেজর জলিলের চিন্তা চেতনায় পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। শেষ পর্যন্ত ১৯৮৪ সালের ৩ নভেম্বর তিনি জাসদ থেকে পদত্যাগ করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি তাঁর ‘কৈফিয়ত ও কিছুকথা’ গ্রন্থে লিখেছেনঃ

“দলীয় জীবনে জাসদের নেতা-কর্মীরা ধর্মীয় মূল্যবোধ প্রায় সম্পূর্ণভাবে বিসর্জন দেয়ার ফলে নৈতিকতার ক্ষেত্রে অবক্ষয় ঘটে, ব্যক্তিজীবনে আসে বিশৃঙ্খলা এবং ধর্মীয় নৈতিকতা এবং মূল্যবোধে পরিচালিত সমাজদেহ থেকে নিজেরা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লেও সমাজে বসবাসরত জনগণকে ঐতিহ্যবাহী ইসলামী সাংস্কৃতিক জীবন এবং মূল্যবোধ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে মোটেও সক্ষম হয়নি। প্রচলিত পারিবারিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক জীবনধারা থেকে কেবল নিজেদেরকে বিচ্ছিন্ন করে রাখলেই বিকল্প সংস্কৃতি জন্ম নেয় না, বরং এই ধরনের রণকৌশল অবলম্বন সমাজে প্রচলিত নীতি, নৈতিকতা, আচার-অনুষ্ঠান এবং সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের প্রতি তাচ্ছিল্য, উপহাস এবং ঘৃণার বহিঃপ্রকাশ ঘটায়, যা প্রকারান্তরে বিপ্লবী আন্দোলনের বিপক্ষে চলে যায়।”

“ইসলাম ধর্ম এ দেশের শতকরা ৯০ জন গণমানুষের কেবল ধর্মীয় বিশ্বাসই নয়, ইসলাম ধর্মভিত্তিক নীতি-নৈতিকতা, আচার-অনুষ্ঠান, উৎসব-পর্ব, সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং এদেশের সাধারণ গণমানুষের দৈনন্দিন জীবনের নানান ঘটনার সাথে ইসলাম ধর্ম অঙ্গাঙ্গিভাবেই জড়িত। জন্মপর্ব থেকে শুরু করে জানাযা পর্যন্ত ইসলামের নীতি-নির্দেশের আওতায় নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের জীবন। এমন একটি জীবন দর্শনকে অবহেলা, উপেক্ষা কিম্বা সম্পূর্ণভাবে পরিহার করে চলার নীতিকে বাস্তবসম্মত কিম্বা বিজ্ঞানসম্মত বলা যায়। প্রগতিশীল আন্দোলনের স্বার্থেই ইসলাম ধর্মের বিজ্ঞানসম্মত মূল্যায়ন অত্যাবশ্যকীয় বলে আমি মনে করি, কারণ ইসলাম শোষণ-জুলুম, অন্যায়, অসুন্দরসহ সবরকম স্বৈরশাসন এবং মানুষের উপর অবৈধ প্রভুত্বের ঘোর বিরোধী। ইসলাম পুঁজিবাদ, সাম্রাজ্যবাদ, রাজতন্ত্র উচ্ছেদের নির্দেশ দেয়। সম্পদের ব্যক্তি মালিকানা ইসলামে নিষিদ্ধ, কারণ সকল সম্পদের মালিকানা একমাত্র আল্লাহরই। মানুষ হচ্ছে তার কেবল প্রয়োজন মেটানোর জন্য আমানতদার বা কেয়ার টেকার।”

জাসদ থেকে পদত্যাগের পর মাত্র ১৬ দিন পর মেজর জলিল ১৯৮৪ সালের ২০ অক্টোবর ‘জাতীয় মুক্তি আন্দোলন’ নামে একটি দল গঠন করেন। এই সময় তিনি মরহুম হাফেজ্জী হুজুরের নেতৃত্বে সম্মিলিত সংগ্রাম পরিষদ গঠনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ১৯৮৫ সালে জানুয়ারী মাসে তাঁকে গৃহবন্দী করা হয়। তিনি এক মাস গৃহবন্দী অবস্থায় থাকেন। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে যোগদানের কারণে ১৯৮৭ সালের ৩০ ডিসেম্বর থেকে ১৯৮৮’র মার্চ পর্যন্ত সরকার তাঁকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটকে রাখে। এর আগে মেজর জলিল লিবিয়া, লেবানন, ইরান, ব্রিটেন ও পাকিস্তানে কয়েকটি আন্তর্জাতিক ইসলামী সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন।

১৯৮৮ সালের ১১ নভেম্বর মেজর জলিল পাকিস্তান যান। ১৬ নভেম্বর রাজধানী ইসলামাবাদে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। ১৯ নভেম্বর রাত সাড়ে ১০টায় তিনি ইন্তেকাল করেন। ২২ নভেম্বর তার লাশ ঢাকায় আনা হয় এবং পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। উল্লেখ্য মেজর (অবঃ) জলিলই সেই সৌভাগ্যবান ব্যক্তি যার লাশ দাফনের মাধ্যমেই মিরপুরের মুক্তিযোদ্ধা গােরস্থানে সর্বপ্রথম লাশ দাফন শুরু হয়েছে।

মেজর জলিল এমন কিছু গ্রন্থ লিখে গেছেন যা আমাদের জাতীয় জীবনের যে কোনো সন্ধিক্ষণে দিক-নির্দেশনার কাজ করবে। তার একটি গ্রন্থ ‘অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা’ তো এখন দেশপ্রেমের এক বলিষ্ঠ এবং উচ্চকিত শ্লোগানে রূপান্তরিত হয়েছে।

মেজর জলিলের লেখা ৮টি গ্রন্থ হলোঃ ১. সীমাহীন সমর (মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ডায়রি), ২. মার্কস্‌বাদ (প্রবন্ধ), ৩. সূর্যোদয় (রাজনৈতিক উপন্যাস), ৪. কৈফিয়ত ও কিছু কথা (প্রবন্ধ), ৫. দাবী আন্দোলন দায়িত্ব (প্রবন্ধ), ৬. দৃষ্টিভঙ্গি ও জীবন দর্শন (প্রবন্ধ), ৭. অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা (প্রবন্ধ) ও ৮. A Search for Identity (Essays)

মৃত্যুর সময় মেজর (অবঃ) এম এ জলিল মাতা, স্ত্রী ও দুটি কন্যা সন্তান রেখে গেছেন।

ইতিহাস পরিষদের পক্ষে
এফ. রহমান