বন্দরে সন্ধ্যা

গোধূলি-তরল সেই হরিণের তনিমা পাটল
– অস্থির বিদ্যুৎ, তার বাঁকা শিঙে ভেসে এল চাঁদ,
সাত সাগরের বুকে সেই শুধু আলোক-চঞ্চল;
অন্ধকার ধনু হাতে তীর ছোঁড়ে রাত্রির নিষাদ।
আরব সমুদ্র-স্রোতে ক্রমাগত দূরের আহ্বান,
তরুণীর মুখ থেকে মুছে গেছে দিনের রক্তিমা,
এ দিকে হরিণ আনে বাঁকা শিঙে চাঁদ: রমজান;
ক্ষীণাঅঙ্গীর প্রতীক্ষায় যৌবনের প্রাচুর্য: পূর্ণিমা।

ষোল পাপড়িতে ঘেরা ষোড়শীর সে পূর্ণ যৌবনে
আসিল অতিথি এক বন্দরের শ্রান্ত মুসাফির।
সূর্যাস্তের অগ্নিবর্ণ সেহেলির বিমুগ্ধ স্বপনে,
নিভৃত ইঙ্গিত তার ডেকে নেয় পুষ্পিত গহনে;
অনেক সমুদ্র তীরে স্বপ্নময় হ’ল এ শিশির,
তারার সোনালি ফুল ছিটে প’ড়ে রাত্রির অঙ্গনে।।