চাহার দরবশে

‘যে বাগানে মেওয়া নাই মিছা সেই বাগ।।’

যেখানে মশাল ঘিরে ছিল জেগে চার দরবেশ
জনশূন্য গোরস্তানে, ভয়াবহ রাত্রির ছায়ায়
পাথরের মূর্তি চার নির্বিকার। প্রচণ্ড হাওয়ায়
নিঃসঙ্গ মশাল তবু ছিল জেগে দৃষ্টি নির্নিমেষ
যেন সে কুতুব তারা (চার পাশে তমিস্রার দেশ
অথবা দরিয়া যেন অতলান্ত, যেখানে মিলায়
সম্পূর্ণ অচেনা দূরে কিশতী, যাত্রী খেলনার প্রায়
যেখানে মৃত্যুর মত জাগে শুধু আশঙ্কা অশেষ)।

সেখানে আজাদ বখ্ত গেল একা নির্জন মাজারে
ফকিরের দেওয়া-প্রার্থী (বক্ষে নাই সুরের কিঙ্কিনী;
নিঃসীম প্রান্তরে নাই রাত্রি-জাগা ঝিল্লীর শিঞ্জিনী
ঝঞ্চ্ঝার প্রশ্বাস শুধু ছুটে চলে দুস্তর কান্তারে)।
চার দরবেশের কথা শুনিল সে যখন, আঁধারে
মনে হ’ল এ জীবন ঝড়-ক্ষুব্ধ রাত্রির কাহিনী।