চাপ

বিশেষ লরীর নীচে চাপা প’ড়ে একদা অবেলা
আমার বিশিষ্ট আত্মা তৎক্ষণাৎ পৌঁছিল আকাশে।
সেখানেও শান্তি নাই দুই চোখে সর্ষে ফুল ভাসে
অশরীরী হাড়ে বেঁধে ক্রমাগত শারীরিক ঠেলা।
এ কোন্ বালাই আজ ক্রমাগত ছেড়ে মৃত্যু ঢেলা,
পুত্রগণ জন্মদাস, কন্যারা হ’য়েছে সেবাদাসী
বস্তাবন্দী হ’য়ে তারা চলে যেন প্রেত অধিবাসী
বেঁচে থাকে দিন গণি: মাস শেষে আসিবে পহেলা।

[তবু এ বাঁচার মধ্যে দেখি যে মৃত্যুর রূপান্তর
যেমন অসুস্থ তন্দ্রা ছারপোকার নিয়ত দংশনে
(সব রক্ত শুষে নিল সর্বদাই বিভীষিকা মনে)।
রক্তবীজ-সন্ততিরা ছেয়ে ফেলে পল্লী ও শহর।
ছারপোকা মেরে শুধু দিন যাবে বিনিদ্র শয়নে
পাব নাকি শান্তি কভু ভেবে মন অহেতু জর্জর।]