দুই বিড়ালের কথা

নামের কাঙাল ছিল না তো ঐ হুলো বিড়াল,
এ কুনো বিড়াল মাছের সঙ্গেই নামও চায়,
পা চাটার গুণে এখানে সেখানে খ্যাতিও পায়;
দেখে বিস্মিত ঐ ভ্যাগাবণ্ড হুলো বিড়াল!
ভাবখানা তার অধঃপতন এতটা নিচে
হয় যদি তবে কুনো বিড়ালের জীবন মিছে।

হুলো বলে: যারা কর্মী পুরুষ,- কীর্তিমান
খ্যাতিটা তাদের পিছনেই আসে ল্যাজের মত,
নিজের গরজে এঁটে থাকে সাথে ব্যাজের মত;
ল্যাজের পিছনে ঘোরা জীবনের অসম্মান।
টিটকারি দেয় মাঝখান থেকে অনেকে ভাই;
হুলোটা আবার করে না কেয়ার কাউকে তাই।

নামের কাঙাল এ কুনো বিড়াল বোঝে না ঠিক,
প্রতি রাতে তাই হুলোর সঙ্গে বচসা বাধে,
কখনো তর্ক হয় না তো শেষ নির্বিবাদে;
হুলো আর কুনো ভুলে যায় জ্ঞান দিগ্বিদিক!
এ বলে, “আমার নাম যদি জোটে”…ও বলে “ব্যাস্
শুনতে চাই না।”… তারপর শুরু, “মিঞাও… ফাঁশ…”