ফাল্গুনে

‘বনানী সেজেছে সাকী ফুলের পেয়ালা নিয়ে হাতে’,
তুহিন শীতের শেষে দেখি আজ মুক্ত রূপ তার,
গাছে গাছে, ডালে ডালে তারুণ্যের জেগেছে জোয়ার;
জেগেছে ফুলের কুঁড়ি অরণ্যের মদিরা বিলাতে।
এতদিন যে অধ্যায় বর্ণে গন্ধে পারেনি মিলাতে
এখন পেয়েছে তন্বী সেই বর্ণ, ফুল-গন্ধ ভার,
সবুজের আস্তরণে জীবনের অজস্র সম্ভার
পেয়েছে বনানী ফিরে আজ এই ফাল্গুন প্রভাতে।

এখন তরুণী সেই প্রশাখার মত বাহু মেলে
একান্তে প্রতীক্ষমানা দয়িতের সাথে চায় মিল,
অরণ্যের শামাদানে প্রতীক্ষার মণিদীপ জ্বেলে
দেখে সে বিস্ময়ে চেয়ে সাজানো বনের মহফিল!
হৃদয়ের সব সুর, অনুরাগ কণ্ঠে তার ঢেলে
এ নির্জন বনছায় গেয়ে যায় প্রচ্ছন্ন কোকিল।।