ঘোগ-সংবাদ

বাঘের ঘরে ঘোগের বাসা, বাঘ রাখে না খোঁজ তার;
বাঘের পকেট কেটেই আবার ঘোগটা বাড়ায় রোজগার।।

বাঘের চোখে ধুলো দিয়ে গর্ত খোঁড়ে রাত দিন,
বাঘ বোঝে না, খরচা দিয়ে খাওয়ায় সে ভোজ সাত দিন।
বাঘ জানে না সুড়ঙ্গটা কোন্ দিকে কার নির্দেশে;
কেমনভাবে চল্ছে কোথায়; কোন্ দুরাশার তীর ঘেঁষে।
এ সব জানার আগেই যে বাঘ ঘুমায় টেনে কম্বল,
আরাম করে এদিকে ফের ঘোগ লোটে তার সম্বল।।

একটা থেকে দু’টো হল, দু’টোর পরেও ঢের ভাই
ঘোগের মাসী-পিসী আসে বাঘের ঘরে ফের ভাই!

চলন বলন কার কিরকম বাঘ রাখে না খোঁজ তার,
জানে না কার পকেট কেটে বাড়ে ঘোগের রোজগার!
মন মেজাজে খাসা যে বাঘ ঘুমায় টেনে কম্বল;
ঘোগটা তখন দল ডেকে ফের লোটে বাঘের সম্বল।।

ঘোগের সাথে কান কথা কে যায় বলে ঐ ফিস্ফিস,
যাওয়ার সময় দেয় সে গুঁজে ঘোগের টাকে কিশমিশ,
সুড়ঙ্গটার কাজ দেখে যে হয়েছে তার দিল্ খোশ,
রাত্তিরে তাই গান গেয়ে যায় লাল, বাদামী, নীল ঘোষ।
বাঘটা এ সব বোঝার আগে বনবাদাড়ে সব চুপ,
ধূর্ত রাতের ঝুলি থেকে ঘুম ঝরে যায় ঝুপঝুপ।।

বাঘের ঘরের গোপন খবর ভোর না হতে সাত কান,
বোঝে না বাঘ এই ব্যাপারে রয়েছে কার হাত টান!
অলক্ষিতে কম্বলটা বন্ সীমানা হয় পার,
হিসাব করে দেখলো যে বাঘ এই নিয়ে ঠিক ছয়বার!
কাজে কাজেই রাগের মাথায় করে বেদম চিটপিট;
ঘোগটা তখন ঘরের কোণে লুকিয়ে হাসে মিট্মিট্।।

এমন ভাবেই কাটছিলো দিন জব্দ হয়ে বারবার,
বাঘের চোখে হঠাৎ ধরা পড়ল ঘোগের কারবার।
সুড়ঙ্গটার মুখে দেখে অন্য রঙের টিপ সই
সন্দেহটা রইল না আর, এটা কাদের ঠিক সই!
ঘোগের খোঁজে তাই সে এখন করছে বাগান তোলপাড়,
গভীর বনে ঘোগটা পালায়; বাঘ ওল্টায় ঝোপঝাড়।।