গুরু শিষ্য সংবাদ

(তমদ্দুন প্রসঙ্গে)

জানালো গুরুর কাছে অতি ধূর্ত চেলাচামুণ্ডেরা,
‘শিলাদৃঢ় পাকিস্তান তমদ্দুনী রোশ্নিতে ঘেরা,
সংকল্প সংযুক্ত বাহু পরিপূর্ণ আদর্শের টানে
হয়না শিথিল আর সহস্র ভেকের ঐকতানে,
শতাব্দীর ঘূর্ণাবর্তে পাকিস্তানী হায়াত দারাজ
তৌহিদী আলোতে চায় গড়ে নিতে নতুন সমাজ,
সমন্বয়-পন্থীদের মিষ্টালাপে তোলে সে আওয়াজ,
অতঃপর ও অঞ্চলে ব্যর্থ হল আমাদের কাজ।’

চিন্তাযুক্ত গরু শেষে বলিল, ‘এ অসম্ভব কথা,
কি ক’রে লোভের গুড় ছেড়ে দিয়ে নেব এ ব্যর্থতা?
তমদ্দুনী ব্যাখ্যা দিয়ে জিতে যাবে হায়াত দারাজ?
পুনর্বার নবোদ্যমে শুরু করে ফেলে আসা কাজ।
‘এক কৃষ্টি প্রচারেই যুক্ত হবে খণ্ডিত কল্পনা-
বহু আচার্যের ধ্যান,- স্বপলব্ধ যোগীর জল্পনা।’

শিষ্যেরা কহিল রেগে, ‘স্থির চিত্তে শোনো মহাশয়
অসম্ভব ও দুষ্কর্ম আমাদের করায়ত্ত ও নয়।
যে ব্যাপারে নিঃসংশয় যাবতীয় পাকিস্তানী; আজ
সে ক্ষেত্রে নিঃসঙ্গ নয় হুঁশিয়ার হায়াত দারাজ।
যে জাতি উঠেছে জেগে তমদ্দুনী স্বাতন্ত্রের জোরে
ভুয়া সংস্কৃতির চালে তাকে দেওয়া চলে না কবরে।’

গুরু কন, ‘কেন রাগো? দল বৃদ্ধি করে যাও, আর
কৃষ্টির মোড়কে করো কৌটিল্যের কৌশল প্রচার,
এ ভাবেই লুপ্ত হবে তমদ্দুনী স্বাতন্ত্রের ঝাঁজ,
স্বপ্নেও পাবে না টের পাকিস্তানী হায়াত দারাজ।’
হায়াত দারাজ বলে, ‘জিতা রহো বেটা, ও বস্তায়
লেজ-কাটা নির্লজ্জের লোলুপ দুরাশা দেখা যায়।।’