‘হিংস্র, ক্ষুধাতুর রাত্রি’

হিংস্র, ক্ষুধাতুর রাত্রি আজদাহার মত কুণ্ডলীতে
ঘিরেছে সহস্র পাকে পৃথিবীকে। এ রাত্রির ফণা
ঢেলে যাবে মৃত্যু বিষ যদি তুমি হও অন্যমনা,
ক্ষণিকের অবসর চাও যদি নীরবে, নিভৃতে।
এখানে পাবে না শান্তি উন্মাদের উৎকট হাসিতে,
এ রাত্রে পাবে না খুঁজে শান্তি আর বাণী সান্ত্বনার,
ক্রূর কুণ্ডলীতে বন্দী মুক্তি নাই তোমার আমার
সাপের ফণার নীচে মৃত্যু-তিক্ত এই শর্বরীতে।

এক অন্ধকার যদি শেষ হয় তবে ঘনতর
রাত্রির তরঙ্গ মেঘে নেমে আসে প্রগাঢ় আঁধার
(সারা বুক চেপে ধরে জগদ্দল পাথরের মতো)।
অথবা ছোবলে তার তনু মন করে সে আহত,
বিদ্যুৎ গতিতে তীব্র করে সে দংশন বারম্বার;
অজগর বেষ্টনীতে এ পৃথিবী কাঁপে থরোথরো।