ময়নামতীর মাঠে/এক

মাঠের সীমান্ত ঘেঁষে যেখানে প্রাচীন ঝাউগাছ
(নির্জন পথের ফৌজ) বাতাসের শোনে দীর্ঘশ্বাস,
যেখানে সমস্ত দিন নদীতীরে খঞ্জনের নাচ,
যেখানে মাটির কান্না সারাক্ষণ কাঁদায় আকাশ;…
সেখানে অনেক রাতে ঝাউশাখে ঘোড়া বেঁধে রেখে
জ্বিনের শা’জাদা নামে ময়নামতির ফাঁকা মাঠে।
উজ্জ্বল আগুনরঙ শা’জাদার (জানে না অনেকে)
কি যেন খোঁজে সে একা অন্ধকারে কুণ্ঠিত ললাটে!

ঝাউ ডালে বাঁধা ঘোড়া অসহিষ্ণু মেঘের মতন
ঘুমন্ত মাঠের বুক হ্রেষা রবে কাঁপায় কখনো
(আলেয়ার শিখা জ্বলে নাসারন্ধ্রে)! শা’জাদা উন্মন
দীউয়ানার হালে ঘোরে (দেখেছে প্রবীণ বৃদ্ধ কোন)।
জমাট আঁধার যেই চিড় খায় মোরগের ডাকে
ঘোড়ার সওয়ার হয়ে মিশে যায় সে রাতের বাঁকে।।