নাবিক

পাহাড়ে খোদাই বুক, পাথরের মূর্তি যেন তার
খোঁজে সমুদ্রের তীর সিন্ধু-শকুনের দৃষ্টি মেলে;
দুস্তর তরঙ্গ শেষে গ্র্যানাইট মাটির কিনার!
রুক্ষ ললাটের পর সমুদ্রের হাওয়া যায় খেলে।
তিমি’র পুচ্ছের মত হাল ঘোরে অভ্যস্ত মুঠিতে।
সিন্ধু-শকুনের দৃষ্টি খোঁজে শুধু মেহগনি বন,
শাখার ইশারা আর কোন এক অজানা মাটিতে
রাশিকৃত স্বপ্ন তার ছেড়ে যায় দৃঢ় পাটাতন।

ভাঙে সমুদ্রের তীর চূর্ণ হয়ে বালুবেলা ‘পরে,
ভাঙে পৃথিবীর তট দুস্তর সে সর্বগ্রাসী ঝড়
ডুবে যায় অস্তমুখী সূর্য এক অজ্ঞাত বন্দরে
কালো আকাশের নীচে জাগে তার জীবন্ত কবর;
হাল ধ’রে তবু দেখি সে নাবিক রাত্রির প্রহরে
সিন্ধু-শকুনের চোখে খোঁজে তার বাঞ্ছিত বন্দর।।