অশেষ ঐশ্বর্য

অশেষ ঐশ্বর্য, আলো এই পাক বাংলার ভাণ্ডার
অফুরন্ত, অনির্বাণ জেগে আছে দৃষ্টি নির্নিমেষ!
কে জানে কি এনেছিল সে মাহী-সওয়ার দরবেশ
ঝড় উঠেছিল যাতে মৃতারণ্যে, নির্জিত কান্তারে।
অসত্যের, অসাম্যের জীর্ণ স্তূপ তৌহিদের তারে
শুনেছিল কি সঙ্গীত (জীবনের পাথেয় অশেষ)!
মুমূর্ষ এ মৃত্তিকার উজ্জীবিত প্রশান্তির রেশ
অপূর্ণ সত্তাকে তাই নিয়ে গেছে পূর্ণতার দ্বারে।

সে কাহিনী শুনি আমি এ পাক বাংলার পুরোভাগে
পুঁথির পৃষ্ঠায়, গানে; – জীবনের প্রতিটি প্রহরে!
কবির বিস্মিত দৃষ্টি (ফকীরের প্রোজ্জ্বল চিরাগে
যেমন দ্বীনের রোশ্নি চট্টলের বিস্মি্ত শহরে,
পাহাড়তলীতে, গ্রামে) জীবনের পূর্ণ অনুরাগে
খুঁজে ফেরে সে সঞ্চয় ফসলে ও পুষ্পল প্রান্তরে।।