প্রেক্ষণ

পুরানো সমাধিস্তম্ভ পার হ’য়ে কারখানা, প্রাচীন দেয়াল।
বিশীর্ণ ক্ষুধার ছায়া, কৃষাণের ক্লান্তদেশ, শ্রমিক-কঙ্কাল,
নুয়েপড়া শ্রান্ত মূর্তি শ্রমজীবী কেরানীর, বুভুক্ষু নিখিল,
অবসন্ন বসুন্ধরা খোলে কর্মজগতের খিল।
এসেছে প্রভাত
সারাদিন, সারারাত
দশদিক ঘিরে পড়ে মেদস্ফীত শোষকের উর্ণনাভ-জাল,
জনতার রক্তস্রোত কেটে কেটে চলে তার জাহাজের হাল,
ওড়ে তার বিজয়-পতাকা
শোষিত-করোটি-চিহ্ন আঁকা।
দিকে দিকে তারি শব্দ, তারি হুইসিল
অবসন্ন বসুন্ধরা খোলে কর্মজগতের খিল
বিস্বাদ প্রভাতে।
রাতে
স্বপ্ন নাই।
অপঘাত, অপমৃত্যু, এরি মাঝে স্বপ্নসাধ খুঁজিয়া বেড়াই,
হায়।…জীবনের স্বপ্ন চাই।