রুমী

সে মহা সমুদ্র এক অতলান্ত… বিশ্রাম আশায়
পথিক তরঙ্গ যত বারে বারে আসে যার বুকে
দূর দূরান্তর হ’তে মুক্ত জীবনের প্রত্যাশায়;
আত্মার পাথেয় নিয়ে ছুটে যায় আবার সম্মুখে।
অথবা বোর্রাক যেন এই মহা সমুদ্রের স্রোতে
দাঁড়ায় মুহূর্ত কাল তারপর বিদ্যুতের মত
পাখা মেলে মুক্ত নীলে পরিপূর্ণ সত্যের আলোতে;
অতলান্ত সিন্ধু স্রোত ব’সে যায় শুধু অবিরত।

সত্যের নিগুঢ় বার্তা প্রাণকেন্দ্রে যার সংগোপন
(দুস্তর তরঙ্গ উর্ধ্বে, মর্মে তার মোতির ভাণ্ডার),
মানেনি, মানে না মানা সত্যাশ্রয়ী, – মিথ্যার বন্ধন;
খুলে দেয় প্রয়াসীকে অফুরন্ত রহস্যের দ্বার।
রেখে যায় প্রাণ তার ফোরকান পাহ্লবী জবান,
(মসনবী অমর কাব্য লেখা এই দুনিয়া জাহানে)।।