শরীফ দ্বিতীয় প্রকার

রক্তে আভিজাত্য নাই, তাই গোলামীর
তক্‌মায় খুঁজি আমি দীপ্ত শরাফতি,
গর্বোন্নত চাকুরির উদ্ধত পামীর
যেখানে পেয়েছে মুক্তি এ দাসের গতি
সেখানে একশো তিন কুলী ও কেরাণী
চরাই দাম্ভিক নিত্য এক ইশারাতে
সরকারী জৌলুষের আভিজাত্য টানি’
উঠেছি সবার উর্ধ্বে সবের মাথাতে।

সন্ত্রস্ত কেরাণীকুল, চাপরাশী ভয়ে
চোখে স’র্ষে ফুল দেখে, কথার দাপটে
প্রতিদ্বন্দ্বী পরাজিত, বিমূঢ় বিস্ময়ে
শিক্ষিত বেকার পড়ে বিষম সংকটে
চেয়ে দেখে ফেরাউন শতাব্দীর পটে
নব আভিজাত্য-দীপ্ত সরকারী নিলয়ে।।