স্বর্ণ-ঈগল


আমার বিপুল ক্ষুধা আজ তুমি পুরাবে কী দিয়ে,
আমার বিশাল তৃষ্ণা যে আর মানে না মানা!
জাগ্রত মোর স্বর্ণ-ঈগল মেলেছে ডানা
দুই বহ্নির প্রলোভন তার ভোলাবে কী নিয়ে।।

ছিল এতকাল ঘুমন্ত মোর বিহঙ্গম,
সুপ্তোত্থিত যদি সে তাকালো দিগন্তরে
সব প্রলোভন, সব বন্ধন সুনির্মম
ওড়ায়ে যাবে সে মুক্ত পাখার বিশাল ঝড়ে,
দুই বহির ভ্রূকুটি পারেনি; পারবে না আর
মুছে দিতে তার অশেষ তৃষার মুক্ত পাথার।।

এবার তা’হ’লে শুরু হোক ফের উর্ধ্বগতি।
নিমগ্ন এই পাশবিকতার আত্মরতি
খুঁজে নিক তার মুক্তির পথ
প্রাণ প্রবাহের পূর্ণগতি,
নিশান্ত-নীলে আনুক দিনের পূর্বাভাস
(বিপুল ক্ষুধায়, বিশাল তৃষায় অকুতোভয়
খুঁজুক সে তার তনু আত্মার সমন্বয়)।।

এবার তা’হ’লে নতুন পথের গান,
এই হাভিয়ার বক্ষে আবার
নতুন আলোর পাখা
মেলুক আবার জয়তুন তার
নতুন সবুজ শাখা;
সুবিপুল ক্ষুধা অশেষ তৃষার মরু মাঠ পাড়ি দিয়ে
উড়ুক আমার স্বর্ণ-ঈগল নতুন ইশারা নিয়ে।।


প্রহর কেটেছে বন্য রাতের অন্ধ নিষ্পেষণে
এবার নতুন আলোর ইশারা জাগাও রুদ্ধ মনে
আব্লুস-ঘন এই শর্বরী চিরে
মুক্ত ভোরের আলোর ইশারা
আনো বনানীর শিরে।।

অনেক রাত্রি এসেছে, আসবে আরো
অনেক অন্ধ রাত্রি তিমিরাহত;
অনেক তুফান এসেছে, আসবে আরো
বৈশাখী বাধা মৃত্যু শিখার মত।
লাখো বালিয়াড়ি হয় যদি দুর্জয়
ঝড় সংঘাতে তুমি পেয়ো নাকো ভয়।।
কো’কাফ আঁধারে সুবে-সাদিকের শুভ্রতা ভেসে আসে
নতুন দিনের ইশারা আমার সুদূর পূর্বাকাশে!
এখানে হাভিয়া কালো
ভয়ে শঙ্কায় বৃথা চমকায় দেখি সে ভোরের আলো
সে আলোকে চমকায়
সে আলোয় ভয় পায়
শত নিষেধের বেড়া তোলে ওর বিষাক্ত তমসায়।
তবুও মেনো না মানা
নতুন দিনের স্বর্ণ-ঈগল নির্ভয়ে মেলো ডানা!
এ বিপুল ক্ষুধা, এ বিশাল তৃষা
যার তোমার চোখের দৃষ্টিতে আজ হোক সমাধান তার।।