তাজকেরাতুল আউলিয়া

‘তাজকেরাতুল আউলিয়া এ কেতাবের নাম
আউলিয়া লোকের হাল ইহাতে তামাম।’

তখনো আমার মনে ছিল জেগে সংশয়ের ঘোর
শুনেছি যখন আমি জীবনের অসংখ্য কাহিনী,
বুঝিনি কিভাবে তৃপ্ত সুখ সজ্জা, প্রমোদ যামিনী
ছেড়ে সত্যান্বেষী প্রাণ খোঁজে তার অচেনা বন্দর।
বুঝিনি কিভাবে কাটে সত্যান্বেষী – অসত্যের ডোর
(গোধূলি স্বপ্নের মত তুলে মুগ্ধ সুরের কিঙ্কিণী
সমস্ত জীবন জুড়ে ছড়িয়ে যে আছে কুহকিনী)
কিভাবে সত্তার মূলে রচে তার সমাপ্তির গোর।

আমার সংশয় দ্বিধা গেল মুছে কুয়াশার মত
অস্পষ্ট রাত্রির শেষে, প্রথম যখন শুনিলাম
ওলি আউলিয়ার কথা, প্রভাতের রোশ্নি দূরাগত
আলোর পেখম খুলে দিল এনে খুশির পয়গাম।
দ্বিধা-দ্বন্দ্বে যে মানস ছিল ভ্রান্ত, অথবা বিব্রত
পেল গ্রন্থ (তাজকেরাতুল আউলিয়া যে কেতাবের নাম)৷।