ট্রেনে/দুই

যাত্রার ইশারা পেয়ে সে ‘দেও’ যখন ক্ষুব্ধ রোষে
জানালো সম্মতি তার সুকঠিন তীক্ষ হুইসিলে
রাত্রির আকাশ ছিঁড়ে আদিগন্ত ঘুমন্ত নিখিলে
গেল সে সুতীব্র ধ্বনি, ছিল যা’রা সুপ্তির আলসে
ঘুম ভাঙাচোখ মেলে অকস্মাৎ- শয্যাপ্রান্তে ব’সে
কি যেন দেখিল খুঁজে, কি যেন খুঁজিল অন্ধকারে,
জীবনে যা পায় নাই পাবে কি মৃত্যুর বন্ধ দ্বারে
(ট্রেনের বিক্ষুব্ধ ধ্বনি-তরঙ্গ রাত্রির স্মৃতিকোষে)।

যাত্রার ইশারা পেয়ে সে দানব (এক চক্ষু যার)
প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে পথে নামলো রাত্রির কালো স্রোতে,
অন্তহীন সময়ের অন্ধকারে অথবা আলোতে
যাবে সে উদ্দাম বেগে পুঁজি নিয়ে অশেষ তৃষ্ণার,
তারপর থেমে যাবে একদিন মধ্য পথে তার
আভাষ পেয়েছি যার বহু দূর দূরান্তর হ’তে।।