বাসর

কপাটহীন একটা অস্থির ঘরে তার সঙ্গে দেখা।
লোহার তৈরী ছোট্ট একটা ঘর।
বাইরের পৃথিবীর সঙ্গে কোন যোগ নেই।
ঘরটা শুধু উঠছে আর নামছে।
নামছে আর উঠছে।
মানুষ ক্লান্ত হয়-
এ ঘরের কোন ক্লান্তি নেই।
এ রকম একটা ঘরেই বোধহয় বেহুলার বাসর হয়েছিল।
নিশ্ছিদ্র লোহার একটা ঘর।
কোন সাপ সেখানে ঢুকতে পারবে না।
হিসহিস করে বলতে পারবে না, পাপ করো। পৃথিবীর সব আনন্দ পাপে।
পুণ্য আনন্দহীন। উল্লাসহীন।
পুণ্য করবেন আকাশের ফিরিশতারা।
কারণ পুণ্য করার জেন্যেই তাদের তৈরী করা হয়েছে।
লোহার সেই ঘরে ঢোকার জন্যে সাপটা পথ খুঁজছিল।
সেই ফাঁকে বেহুলা তাঁর স্বামীকে বললেন, কি হয়েছে, তুমি এত ঘামছ কেন?
আর তখন একটা সুতা সাপ ঢুকে গেল।
ফিসফিস করে কোন একটা পরামর্শ দিতে গেল।
বেহুলা সেই পরামর্শ শুনলেন না বলেই কি লখিন্দরকে মরতে হল?

তার সঙ্গে আমার দেখা কপাটহীন একটা অস্থির ঘরে।
ঘরটা শুধু ওঠে আর নামে।
আমি তাকে বলতে গেলাম- আচ্ছা শুনুন, আপনার কি মনে হচ্ছে না
এই ঘরটা আসলে আমাদের বাসর ঘর?
আপনি আর কেউ নন, আপনি বেহুলা।
যেই আপনি ভালবেসে আমাকে কিছু বলতে যাবেন
ওম্নি একটা সুতা সাপ এসে আমাকে কামড় দেবে।
আমাকে বাঁচিয়ে রাখুন। দয়া করে কিছু বলবেন না।