আধঘণ্টা বৃষ্টি

আধঘণ্টা বৃষ্টিতে, বিক্রমপুরের আঠালো মাটির মতো, গললো সূর্যাস্ত,
আলতার মতো ঝ’রে গেলো বটের ঝুরির তলে সঙ্গমরত দুটি কালো মোষ।
অ্যাভেনিউর সর্বোচ্চ টাওয়ারটির প্রতিদ্বন্দ্বী, আমার প্রথম ছাত্রীর মতো
উল্লাস-উদ্যমশীল, আমগাছটির একটি চঞ্চল পাতা কেঁপে কেঁপে গ’লে
আমার শুষ্ক ঠোঁটে ঝ’রে পড়লো চুম্বন-শিহর-ঢালা একফোঁটা উজ্জ্বল সবুজ।
আকাশ, নীলের ভাণ্ড, থেকে উছলে পড়লো শাদা ট্রাউজারে একরাশ নীল,
অস্ত গ’লে এক ভরি কাঁচা সোনার আংটি এসে লাগলো শূন্য মধ্যমায়।
আধঘণ্টা বৃষ্টিতে, হরিণের মাংসের মতোন, গললো গোলগাল চাঁদ,
জ্যোৎস্নার মতো গ’লে গেলো কার্নিশে মুখোমুখি একজোড়া শাদা কবুতর।
বঙ্গোপসাগরে ঢেউয়ের সঙ্গে মিশলো দিগন্তপ্রলুব্ধ একটা জাহাজ,
আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী রমনার কালো জলে আগুনের মতো রাজহাঁস।
ওষ্ঠে পাতার সবুজ, ট্রাউজারে নীল, মধ্যমায় অস্ত-গলা সোনার আংটি
পরে পৃথিবীর একমাত্র ভাসমান জাহাজের মতো ঢেউ-ভরা ঘরে ঢুকে দেখি:
শাহানা শয্যায় গ’লে ক্রুদ্ধ ক্ষুব্ধ ঘূর্ণি-জ্বলা ভয়ঙ্কর নদী হ’য়ে আছে।