বাঘিনী

বাঘিনীর মতো ওৎ পেতে আছে চাঁদ
ঝাউয়ের মসৃণ ডালে বটের পাতায়/ ধ’সে পড়া দালানের ছাদে/
রাস্তায়/ ধাবমান টেলিফোনের তারে/ ডাস্টবিনে/
জ্বলজ্বলে নর্দমায়। ব্যগ্র হয়ে ধরা দেয়
ফড়িং/ হরিণ/ সাপ/ মাকড়শা/ কাঠবিড়ালি/
নিঅন পেরিয়ে ওড়ে চন্দ্রগ্রস্ত পোকা। এমন ছোবল দিতে জানে
লক্ষবর্ষ পুরাতন নির্মম বাঘিনী।
আমাকে কি ডাক দিলে মিথ্যাভাষী হে বাঘিনী
এ-নিষ্ঠুর চৈতরাতে? মিথ্যে অভিনন্দন বিছিয়ে দিলে
মুমূর্ষ পাতার পংক্তিতে?
তুমি নেই তাই প্রতারণা করার মতোও
কেউ নেই এই শূন্য প্রান্তরে।
তোমাকে ধিক্কার দিই/ ঘৃণা করি/ চড়কষি/
তবু কী ক’রে ভুলি হে বাঘিনী চাঁদ
একদা ছঘণ্টা শান্তি দিয়েছিলো সহপাঠী নীলিমা রহমান?