দ্বীপ

গভীর মায়ানদী নীরবে বয়ে চ’লে জলের শতো ঠোঁটে
আনে সে পলিমাটি, গোপন মায়ানী গোপনে বয়ে চ’লে।
সুদূরে যাবে ব’লে কেবলি বয়ে চ’লে, ক্ষণিক কোনোখানে
যাপে না অবসর। চলছে কালভর বিদেহী মায়ানদী
অচেনা মনোলোকে, সাগর অভিমুখে বইছে মনোনদী।

আনে সে লাল নীল স্মৃতির গাঢ় মিল ধ্বনির ধুলোকণা
মনোজ জলে ভেজা আক্তার পলিমাটি দুরূহ দূরগামী।
ধ্বনিরা মিলে যায় যেনোবা সহবাসে রয়েছে প্রেমিকেরা
চাঁদের বিছানায়। একটি নদী বয় বাক্য বুকে বয়।
জলের স্নেহভরা মায়াবী পলিমাটি চলছে মোহনায়।

জাগছে মায়াদ্বীপ গভীর মোহনায় মনের মোহানায়।
সাগরে ঢেউ ওঠে পলিরা ফেটে পড়ে দ্বীপটি ভেঙে যায়।
নদীটি পুনরায় নীরবে বয়ে চ’লে শব্দ পলি নিয়ে
অমোঘ মোহানায়। উঠছে মনোদ্বীপ নিবিড় নীল হ’য়ে
পাখিরা ছুঁড়ে দেয় সুরের ঘরবাড়ি দ্বীপের সীমানায়।

জমেছে পরিপাটি ধ্বনির পলিমাটি অযুত কাল ধ’রে
মনের মোহানায়, শব্দরাজি ঝলে সোনালি বালুকায়।
কালের কালো জল রয়েছে ঘিরে তারে, ক্রমশ জাগে দ্বীপ
আমার জল ভ’রে। মায়াবী সেই নদী কেবলি নিয়ে আসে
কাতর পলিমাটি, গড়ছে মায়াদ্বীপ- কবিতা মনোময়।