এক বছর

যখন ছিলাম প্রিয় প্রতিভাসৌন্দর্যপ্রেমে ভূলোকে ছিলো না কেউ আমার সমান।
তরুণ শালের মতো এই দেহ- ঝকঝকে, নীলছোঁয়া, প্রোজ্জ্বল, নির্মেদ-
দু-চোখ জ্যোতিষ্কদীপ্র, কণ্ঠস্বরে লক্ষ লক্ষ ইস্পাহানি গোলাপের ঘ্রাণ,
তোমার প্রশংসাধন্য ছিলো এমনকি লোমকূপে-জ’মে-থাকা সংগোপন স্বেদ।

আমার চুম্বন ছিলো পুনর্জীবন মন্ত্র, যার আমি নষ্ট বিশ্বে শেষ অধিকারী।
উদ্দাম পদ্মার চেয়ে ঢেউভরা আমার বাহুর ব্যাপ্ত ব্যগ্র আলিঙ্গন,
আমি শেষ সেনাপতি, কোষে যার আন্দোলিত হননে সুদক্ষ তরবারি।
মাংসের প্রত্যেক ছিদ্রে বন্যার মত্ততা ঢালে আমার প্রত্যেক আরোহণ।

অন্য কেউ প্রিয় আজ, আমি তাই, যদিও যৌবনজ্বলা, পৃথিবীর নষ্টতম লোক।
চুম্বন দুর্গন্ধময়- আমার মুখটি এই শহরের সবচেয়ে নোংরা ছাইদানি,
এই দেহ হাসপাতাল- চারদিকে যক্ষ্মা, জ্বর, উপদংশ- বিভিন্ন অসুখ।
আশ্লেষে বর্বর আমি: মূর্খ চাষার মতো যেনোর্বা ঢেঁকিতে ধানভানি।

তুমিই সৌন্দর্য আজো দুই চোখে, তোমার ধ্যানেই মগ্ন আছি অহর্নিশ,
পরিমাপ ক’রে যাই অনন্ত দ্রাক্ষার উৎস ঢালতে পারে কতোখানি বিষ।