এক দশক পর রাড়িখাল গিয়ে পৌঁছাতেই
আমার গাড়ির ওপর অবিরল
পড়তে লাগলো চাপ চাপ কবরের মাটি।
যেনো দশ লাখ মানুষ দু-হাতে
মাটি খুঁড়ছে ছুঁড়ে দিচ্ছে গাড়ির ওপরে,
যেনো পাঁচ হাজার বিষন্ন কোদাল
স্তূপ স্তূপ মাটি জড়ো করছে গাড়ির ওপর,
আমি দরোজা ঠেলে খুলতে পারছি না।
আমার পাঁচ বছরের পুত্র, যে এই
প্রথম এসেছে রাড়িখালে, নিজের বাড়িতে,
লাফিয়ে নামলো, তার পায়ের ঘষায়
পাঁচ হাত ছুলে গেলো রাড়িখাল। মনে হলো
রাড়িখাল ওরই মতো
কারো পায়ের জন্যে অপেক্ষা করছিলো।
আমার মেয়েরা কলকল ঝলমল
ক’রে তাদের অচেনা রাড়িখালকে
একঝাঁক শালিকের মতো মাতিয়ে তুললো।
দুটি পাখি ফিরে পেয়ে রাড়িখাল
ডাল মেলতে লাগলো দিকে দিকে একটা অরণ্যের
সূচনা ঘটলো। আমি শুধু এক গাড়িতে
চাপা পড়তে লাগলাম
চাপ চাপ মাটির গভীরে।