কবিতা- কাফনে-মোড়া অশ্রুবিন্দু

পংক্তির প্রথম শব্দ, ডানা-মেলা জেট,
দাঁড়িয়ে রয়েছে টার্মিনালে। শব্দের গতির চেয়ে দ্রুতবেগে
বায়ু-মেঘ-নীল ফেড়ে উড়াল মাছের মতো নামে
পংক্তির শেষ শব্দের বন্দরে। অতল সমুদ্রপারে, দ্বিতীয় পংক্তির
সম্মুখ জুড়ে, ভিড়ে আছে সাবমেরিন, ডুবে যায়
কালো তিমি, প্রবাল তুষার ভেঙে অসংখ্য সূর্যাস্ত দেখে
ভুশভুশ ক’রে ভেসে ওঠে দ্বিতীয় স্তবকের দিকচিহ্নহীন
মধ্যসাগরে। তৃতীয় স্তবকে আচমকা
জ্যোৎস্না ঠেলে ঝনঝনাৎ বেজে ওঠে নর্তকীনূপুর-
দশদিগন্তে মঞ্চেমঞ্চে ডানা মেলে বর্ণাঢ্য ময়ূর!
ব্লাউজ-উপচে-পড়া কিশোরীর ব্যাপ্ত বুক
রোধ ক’রে পঞ্চম স্তবকের পথঘাট, উত্তেজিত ক্ষিপ্ত
ট্রাক রাস্তার মোড়ে মোড়ে পাল দেয় লাল
টয়োটাকে। একনায়কের কামান মর্টার স্টেনগানে
বধ্যভূমি হ’য়ে ওঠে দ্বাদশ পংক্তির
উপান্তে অবস্থিত বিদ্রোহী শহর,
লাল গড়িয়ে গড়িয়ে স্বয়ং রচিত হ’য়ে ওঠে
ত্রয়োদশ-চতুর্দশ-পঞ্চদশ পংক্তি, এবং
টলমল করতে থাকে সমগ্র কবিতা-
কাফনে-মোড়া এক বিন্দু
অশ্রু!