নিরাময়

রাতভর দুঃস্বপ্নের পর ভোরে উঠে যার মুখ দেখলাম
তাতেই উঠলো ভ’রে রক্ত, শাদা লাল কণিকারা
কেঁপে উঠলো সুখে- একটি চড়ুইয়ের ঠোঁট থেকে ঝরছে
রোদ, ডানা থেকে সোনার গুঁড়োর মতো ছড়িয়ে পড়ছে
অমল জীবন। বারান্দায় খুঁটে খুঁটে আমি জীবন কুড়োতে থাকি,
আমার বিষাক্ত ঠোঁটে জড়ো হয় মধু, আমার ভেতর
থেকে কেটে যেতে থাকে মধ্যরাত, লাশের গন্ধ, শেয়ালের ডাক,
ভোর হ’তে থাকে আমার ভেতরে নরম কুয়াশা আর শিশিরের
রূপ গ’লে গ’লে; তার কণ্ঠ থেকে ঝরতে থাকে
সুর না অমৃত আমি বুঝতে পারি না, আমি শুধু ঝরনাধারায়
নিজেকে ডুবিয়ে পান ক’রে চলি অমল জীবন।